AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

দিল্লি সরকারের ক্ষমতা হ্রাসে সায় রাষ্ট্রপতির

দিল্লির ওপর কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ আরও বাড়াতে লোকসভায় প্রস্তাব এসেছিল। এ বার সেই ‘গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল ক্যাপিটেল টেরিটরি অব দিল্লি’ (GNCTD) সংশোধনী বিলে অনুমোদন দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (Ram Nath Kovind)।

দিল্লি সরকারের ক্ষমতা হ্রাসে সায় রাষ্ট্রপতির
ফাইল চিত্র
| Updated on: Mar 28, 2021 | 11:57 PM
Share

নয়া দিল্লি: দিল্লির ওপর কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ আরও বাড়াতে লোকসভায় প্রস্তাব এসেছিল। এ বার সেই ‘গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল ক্যাপিটেল টেরিটরি অব দিল্লি’ (GNCTD) সংশোধনী বিলে অনুমোদন দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (Ram Nath Kovind)। এই বিলে একদিকে দিল্লির নির্বাচিত সরকারের ক্ষমতা হ্রাস করে বাড়ানো হয়েছে লেফট্যানেন্ট গভর্নরের শক্তি। সেই বিলেই সায় দিলেন রাষ্ট্রপতি।

প্রসঙ্গত, গত ২২ মার্চ লোকসভায় এই বিল পাশ হয়। তার পর গত ২৪ মার্চ রাজ্যসভায় বিরোধীদের ওয়াক আউটের মধ্যে পাশ হয় GNCTD বিল। রবিবার সেই বিলেই অনুমোদন দিলেন রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ। এদিকে বুকে ব্যথা নিয়ে দিল্লি এইমস-এ ভর্তি রাষ্ট্রপতি। ৩০ মার্চ তাঁর বাইপাস সার্জারি হওয়ার কথা। এর মধ্যেই সংশ্লিষ্ট বিলে তাঁর অনুমোদন দেওয়ার কথা জানা গেল। এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে রাষ্ট্রপতির এই অনুমোদনের কথা জানানো হয়েছে।

কী রয়েছে এই বিলে?

সংশ্লিষ্ট বিলের মাধ্যমে কেন্দ্র চাইছে, দিল্লিতে যে কোনও আইন পাশের আগে কেজরীবাল সরকারকে লেফট্যানেন্ট গভর্নরের মত নিতে হবে। ২০১৮ সালে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছিল, পুলিশ, জন নির্দেশিকা ও জমি ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে লেফট্যানেন্ট গভর্নরের সম্মতি প্রয়োজন নেই। তখন বেঞ্চ জানিয়েছিল, দিল্লির লেফট্যানেন্ট গভর্নর কোনও রাজ্যের রাজ্যপালের মতো নয়। তিনি একজন প্রশাসক। তাঁর ক্ষমতা সীমাবদ্ধ। এদিকে লাগাতার কেন্দ্রের এই বিলের বিরোধিতা করে এসেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। দিল্লির বিধানসভায় ৭০টি আসনের ৬৭টি আম আদমি পার্টির দখলে। মাত্র তিনটি আসনে জিতেছে বিজেপি। অরবিন্দ কেজরীবাল অভিযোগ করেছিলেন, লেফট্যানেন্ট গভর্নরের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে আদতে দিল্লি শাসন করতে চাইছে কেন্দ্র। যদিও লোকসভায় কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছিল, এই সংশোধনী বিলে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। সংশোধনীর মূলে রয়েছে টেকনিক্যাল কারণ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী  জি কিষাণ রেড্ডি জানান, সংবিধানের দেওয়া দিল্লি সরকারের ক্ষমতা খর্ব করার কোনও উদ্দেশ্য এই বিলে নেই। কিছু অস্বচ্ছতা দূর করতেই এই সংশোধনী বিল।

এদিকে রাজ্যসভায় এই বিল পাশ হওয়ার দিন কেজরীবালের মন্তব্য ছিল, “গণতন্ত্রের পক্ষে আজ দুঃখের দিন।” এদিনও এই বিলে রাষ্ট্রপতির সম্মতি দেওয়ার খবরের মধ্যে একটি টুইট করেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।

সেই টুইটকে রিটুইট করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “গণতন্ত্র ও যুক্তরাষ্ট্রীয় ক্ষমতার উপর বিজেপির আঘাতের বিরুদ্ধে দিল্লির মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য পিনারাই বিজয়নজীকে ধন্যবাদ।”