AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Techie suicide: ছেলে-বউয়ের মুখ প্লাস্টিকে বাঁধা, কার্নিশে ঝুলছে বাঙালি ইঞ্জিনিয়ারের দেহ

Pune: ওই সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার দীর্ঘ দিন ধরেই পুণেতে থাকেন বলে জানা গিয়েছে।

Techie suicide: ছেলে-বউয়ের মুখ প্লাস্টিকে বাঁধা, কার্নিশে ঝুলছে বাঙালি ইঞ্জিনিয়ারের দেহ
প্রতীকী চিত্র
| Edited By: | Updated on: Mar 16, 2023 | 3:21 PM
Share

পুণে: পরিবারের লোকেদের মেরে শিক্ষিত ব্যক্তির আত্মঘাতী হওয়ার ঘটল ফের ঘটল। এ বার মহারাষ্ট্রের পুণের একটি ঘটনা সামনে এসেছে। বৃহস্পতিবার এক সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের আত্মঘাতী হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিজে আত্মঘাতী হওয়ার আগে স্ত্রী ও পুত্রকে খুনে করেছেন বলে অভিযোগ। তার পর নিজে আত্মঘাতী হয়েছেন। ওই সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়াং সম্প্রতি আর্থিক সঙ্কটে পড়েছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। সেই হতাশা থেকেই এই ঘটনা বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা পুলিশের। ওই সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার দীর্ঘ দিন ধরেই পুণেতে থাকেন বলে জানা গিয়েছে। তিনি বাঙালি। পুলিশ এসে তাঁর দেহ উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে। তবে কোনও সুইসাইড নোট ওই ব্যক্তির ঘর থেকে উদ্ধার হয়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছএ পুলিশ। তদন্ত শেষ হলে কেন আত্মঘাতী সে বিষয়টি নিশ্চিত হবে বলে মত পুলিশের।

স্ত্রী-ছেলেকে খুন করে আত্মঘাতী হওয়া ওই সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের নাম সুদীপ্ত গঙ্গোপাধ্যায়। ৪৪ বছরের সুদীপ্ত পুণের আউন্ধ এলাকায় থাকতেন। সেখানেই ফ্ল্যাট ছিল তাঁর। পুলিশ জানিয়েছে, সেই ফ্ল্যাটের মধ্যে স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা এ ছেলে তানিস্কের গলায় প্লাস্টিক পেঁচিে খুন করেন সুদীপ্ত। এর পর নিজে আত্মঘাতী হন। জানা গিয়েছে, চাকরি ছেড়ে ব্যবসা শুরু করেছিলেন সুদীপ্ত। তাতে সম্প্রতি আর্থিক ক্ষতি হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।

তবে এই ঘটনা সামনে আসত যদি না আত্মঘাতীর দাদা তাঁর খোঁজ নিতেন। সুদীপ্তের দাদা বেঙ্গালুরুতে থাকেন। সেখানেই কর্মরত তিনি। বৃহস্পতিবার একাধিক বার সুদীপ্ত ও তাঁর স্ত্রীকে ফোন করেছিলেন তিনি। কিন্তু রিং হলেও কেউ ফোন তোলেননি। এর পর তিনি পুণেয় থাকা তাঁর এক বন্ধুকে দেখে আসতে বলেন। সেখানে এসে দেখা যায় ফ্ল্যাটে তালা দেওয়া। এর পর পুলিশে খবর যায়। পুলিশ এসে নকল চাবি দিয়ে ফ্ল্যাটের তালা খোলে। তার পরই দেখা যায়, ঝুলছে সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের দেহ। এবং তাঁর ছেলে ও স্ত্রীর মুখে প্লাস্টিক বাঁধা।