নয়া দিল্লি : ভারত ও নেপালের মধ্য়ে যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা পুনরায় শুরু হল। উল্লেখ্য়, নেপাল ঐতিহাসিকভাবে নয়া দিল্লি এবং বেজিংয়ের মধ্যে একটি ভারসাম্য বজায় রেখেছে। তবে বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, কাঠমান্ডুর উপর ভারতের প্রভাব ক্রমশ কমছে। এর কারণ অবশ্য চিন। এই নেপালের উপর চিন বিপুল পরিমাণে বিনিয়োগ করেছে। অবশ্য, নেপালের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা গত বছর ক্ষমতায় ফিরে আসার পর প্রথম ভারত সফরেই এসেছিলেন।
তিন দিনের সফরে ভারতে এসেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী। শনিবার তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেন। তাঁরা ভার্চুয়ালি যাত্রীবাহী বা প্যাসেঞ্জার ট্রেনের উদ্বোধন করেন। এই ট্রেন ভারতের পূর্বের রাজ্য বিহারের সঙ্গে নেপালের সংযোগ স্থাপন করে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে আপগ্রেডের জন্য ভারত-নেপালের মধ্যে রেল পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তারপর এই প্রথম আবার রেল পরিষেবা চালু হল দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে।
দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনার পর নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, উভয় নেতাই বাণিজ্য এবং আন্তঃসীমান্ত সংযোগের উদ্যোগকে অগ্রাধিকার দিতে সম্মত হয়েছেন। তিনি বলেছেন, “দুই দেশের মধ্যে মসৃণ, ঝামেলামুক্ত মানুষের যাওয়া-আসার ক্ষেত্রে এই ধরনের স্কিমগুলি একটি চমৎকার অবদান রাখবে।” উল্লেখ্য, দুই দেশ পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহের বিষয়েও চুক্তি চূড়ান্ত করেছে এবং বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতার বিষয়ে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছে। এদিকে চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই এর নেপাল এবং ভারত সফরের কয়েকদিনের মধ্যেই নেপালের প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে এলেন।
আরও পড়ুন : Villagers Shot By Army Personnel : মণিপুরের পর এবার অরুণাচল, ‘ভুল করে’ পুলিশের গুলি চলল দুই গ্রামবাসীর উপর
আরও পড়ুন : Indian Oil Import : ‘কেন সস্তায় রাশিয়া থেকে তেল কিনব না?’ দেশের স্বার্থে জোর অর্থমন্ত্রীর