রেল পরিষেবা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা খতিয়ে দেখতে আজ নয়া দিল্লি-আজমের শতাব্দী এক্সপ্রেসে চেপে বসেন রেলমন্ত্রী। তিনি নিজে সমস্ত ট্রেন ঘুরে দেখেন। পরিচ্ছন্নতার খোঁজও নেন। এছাড়াও ট্রেনের যাত্রীদের সঙ্গে গিয়ে নিজে কথা বলেন। যাত্রীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার সময়ই যাত্রী আসনে পুরনো বন্ধু তথা সহকর্মীর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় অশ্বিণী বৈষ্ণবের। তাঁকে দেখেই আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়ান সেই প্রাক্তন সহকর্মী। পেশায় তিনি ডাক্তার। দু’জনের মধ্যে কিছুক্ষণের জন্য কুশল বিনিময় হয়। প্রাক্তন সহকর্মীর পিঠটা খানিকটা চাপড়েও দেন রেলমন্ত্রী। ওই যাত্রী জানিয়েছেন, তিনি পেশায় একজন ডাক্তার। তিনি যখন ওড়িশাতে ছিলেন তখন একই জেলায় আইএএস অফিসার ছিলেন অশ্বিণী বৈষ্ণব। সে বহু বছর আগের কথা। আজ ক্ষণিকের ‘শতাব্দী সফরে’সেই স্মৃতিই ফিরল দুই প্রাক্তন সহকর্মীর স্মৃতিতে। এদিকে ডাক্তার সহকর্মী জানিয়েছেন, অশ্বিণী বৈষ্ণবের মতো সৎ ও এত নিষ্ঠাবান আইএএস অফিসার তিনি খুব কম দেখেছেন। রেলমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বহুদিনের পরিচয় বলেও জানিয়েছেন।
এ দিন রেলমন্ত্রী নয়া দিল্লি-আজমের এক্সপ্রেস পরিদর্শন করে সমস্ত ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন। তাঁর এই সফর ও যাত্রীদের সঙ্গে কথাবার্তার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ারও করা হয়েছে। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, ট্রেনের পরিচ্ছন্নতা নিয়ে প্রশ্ন করছেন রেলমন্ত্রী। যাত্রীরাও হেসে হেসে নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করছেন তাঁর সঙ্গে। ফিডব্যাক যে পজিটিভ, তা যাত্রীদের ভঙ্গিমাতে ধরা পড়েছে। তারপর ভিডিয়োর শেষে দেখা গিয়েছে, আধিকারিকদের সঙ্গে বসে কথা বলছেন অশ্বিণী। ট্রেনের সময়সূচি, পরিচালনা নিয়ে আলোচনা করেন তাঁর সঙ্গে। এই ট্রেনটি সময়মতো আসে বলেও যাত্রীরা জানিয়েছেন তাঁকে। রেলমন্ত্রী অশ্বিণী বৈষ্ণব একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এই রুটে ভারতীয় রেলওয়ে নয়া উদ্যোগ নেবে। তিনি জানিয়েছেন, ট্র্যাকে কিছু পরিবর্তন এনে নয়া দিল্লি-আজমের রুটে ট্রেনের গতি বাড়ানো হবে। তিনি নিশ্চিত করেছেন, নয়া দিল্লি-জয়পুর রুটে বন্দে ভারত ট্রেন চালানো হবে।