Parliament Winter Session: শহিদ-স্মরণে নেই কোনও পূর্ণমন্ত্রী! বিরোধীদের চাপে হাঁক দিলেন রাধাকৃষ্ণন
Pariliment Adjourned: প্রাণ গিয়েছিল বহু নিরাপত্তারক্ষীর। সেই ঘটনার ২৪ বছর পূর্তি উপলক্ষে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের সিদ্ধান্ত নেন অধ্যক্ষ। শনিবার যেহেতু অধিবেশন বসে না, তাই শুক্রবারকেই ধার্য করা হয়। কিন্তু সেই গুরুত্বপূর্ণ দিনেও উপস্থিত নেই একজন পূর্ণমন্ত্রীও। তারপর অধ্যক্ষ সিপি রাধাকৃষ্ণনের কাছে নালিশ জানান বিরোধী সাংসদরা।

নয়াদিল্লি: দশ মিনিটের জন্য মুলতুবি হয়ে গেল রাজ্যসভার অধিবেশন। কিন্তু কেন? কারণ উপস্থিত ছিলেন না একজন পূর্ণমন্ত্রীও। শুক্রবার রাজ্যসভায় যা ঘিরে তুমুল বিবাদ। কোনও পূর্ণমন্ত্রী উপস্থিত নেই বলেই অধ্যক্ষের কাছে নালিশ করলেন বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, অধিবেশনে একজনও পূর্ণমন্ত্রীর উপস্থিতি না-থাকাটা আসলেই সভার অপমান।
আগামিকাল অর্থাৎ শনিবার সংসদ হামলার ২৪ বছর পূর্তি হতে চলেছে। ২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর সংসদে চত্বরে ঢুকে পড়েছিল জঙ্গিরা। প্রাণ গিয়েছিল বহু নিরাপত্তারক্ষীর। সেই ঘটনার ২৪ বছর পূর্তি উপলক্ষে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের সিদ্ধান্ত নেন অধ্যক্ষ। শনিবার যেহেতু অধিবেশন বসে না, তাই শুক্রবারকেই ধার্য করা হয়। কিন্তু সেই গুরুত্বপূর্ণ দিনেও উপস্থিত নেই একজন পূর্ণমন্ত্রীও। তারপর অধ্যক্ষ সিপি রাধাকৃষ্ণনের কাছে নালিশ জানান বিরোধী সাংসদরা।
পাল্টা উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি বুঝতে পেরেছি। আমি প্রতিমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছি। যেন একজন হলেও পূর্ণমন্ত্রী আসেন।’ এরপরেই বিরোধী সাংসদেরা অধিবেশন মুলতুবি রাখার দাবি জানাতে থাকেন। পূর্ণমন্ত্রী না আসা পর্যন্ত অধিবেশন শুরু হবে না বলেই জানিয়ে দেয় তাঁরা। এই অবস্থায় পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করেন রাধাকৃষ্ণন। তারপর দশ মিনিটের জন্য সংক্ষিপ্ত মুলতুবি করেন তিনি। মুলতুবি শেষে পুনরায় বসে অধিবেশন।
এরপরেই মন্ত্রিসভার অন্যান্য মন্ত্রীদের হয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। তিনি বলেন, ‘প্রাক্তন স্পিকার শিবরাজ পাটিলের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপনের জন্য তাঁকে লোকসভাতে উপস্থিত থাকতে হয়েছিল। তবে আমি দুঃখিত যে একজন পূর্ণমন্ত্রীও এখানে উপস্থিত ছিলেন না।’ অন্যদিকে মন্ত্রীদের অনুপস্থিতিকে ‘সভার অপমান’ বলেই দাগিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ।
