করোনা পজিটিভ রাম রহিম, শুনেই হাসপাতালে ছুটলেন ‘পাপা কি পরি’ হানিপ্রীত

এই রাম রহিম (Ram Rahim) সেই ধর্মগুরু, যাঁর নামে ভক্তদের না জানিয়ে ২০০০ সালে নির্বীজকরণের অভিযোগ উঠেছিল।

করোনা পজিটিভ রাম রহিম, শুনেই হাসপাতালে ছুটলেন 'পাপা কি পরি' হানিপ্রীত
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jun 06, 2021 | 8:54 PM

নয়া দিল্লি: করোনা ( COVID-19) আক্রান্ত হলেন ডেরা সচ্চা সওদার গুরমিত রাম রহিম সিং ইনসান। বিতর্কিত এই ধর্মগুরুকে রবিবারই গুরুগ্রামের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সূত্রের খবর ‘বাবা’র শারীরিক পরিস্থিতির কথা জানতে পেরে সেখানে পৌঁছন রাম রহিমের ‘পালিত কন্যা’ হানিপ্রীতও।

কিছুদিন ধরেই শরীর ভাল ছিল না রাম রহিমের। হরিয়ানার রোহতকের পিজিআইএমএস হাসপাতালে বৃহস্পতিবারই শারীরিক পরীক্ষা করা হয় তাঁর। সেখানে কোভিড পরীক্ষা করাতে চাননি ‘বাবা’। কিন্তু রবিবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রোহতকের সুনারিয়া সংশোধনাগার থেকে গুরুগ্রামের মেদান্ত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সঙ্গে সঙ্গেই করোনা পরীক্ষা করা হয়। রিপোর্টও পজিটিভ আসে।

ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে এই সুনারিয়া সংশোধনাগারেই ২০ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত স্বঘোষিত এই ধর্মগুরু। দিন তিনেক আগে পেটে ব্যাথার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। এরপরই এদিন কোভিড রিপোর্টও পজিটিভ আসে। সুনারিয়া জেলের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক জানান, পিজিআইএমএসে বৃহস্পতিবার সবরকম পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি। এরপর নাকি একটি সরকারি হাসপাতালেও যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু কোভিডের কারণে এখন তা সম্ভব নয় বলে জানানো হয়। এরপরই মেদান্তের কথা চিন্তা করেন তাঁরা।

এই রাম রহিম সেই ধর্মগুরু, যাঁর নামে ভক্তদের না জানিয়ে ২০০০ সালে নির্বীজকরণের অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ উঠেছিল, ডেরার ৪০০ ভক্তেরই এক পরিণতি হয়। সে সময় এই মহান গুরু দাবি করেছিলেন, ঈশ্বরপ্রাপ্তির জন্য নির্বীজকরণই একমাত্র পথ। এরপরই আইনের চোখে পড়ে তাঁর গতিবিধি। সঙ্গে যুক্ত হয় ধর্ষণের অভিযোগও। নিজেকে আর বাঁচাতে পারেননি তিনি। ২০ বছরের জন্য কারাদণ্ড হয়।

আরও পড়ুন গ্রেনেড বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল পুলওয়ামার বাস স্ট্যান্ড, রক্তাক্ত সাত

এই ঘটনায় ‘পাপা কী পরি’ হানিপ্রীত ইনসানের যুক্ত থাকারও অভিযোগ ওঠে। তাঁদের সম্পর্ক নিয়েও নানা কথা ওঠে। এ নিয়ে হানিপ্রীত একবার ফোঁপাতে ফোঁপাতে বলেছিলেন, “বাবা মেয়ের মাথায় হাত রেখেছে, তা নিয়ে কুৎসা কেন করা হচ্ছে জানি না। মেয়েকে বাবা কি ভালবাসতে পারে না? আমাদের পবিত্র সম্পর্ককে কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে, যা আমার মন ভেঙে দিয়েছে।” আপাতত মন শক্ত করে ‘বাবা’র মুক্তির দিন গুনছেন তিনি। এরইমধ্যে রবিবারের খবর শুনে নিজেকে স্থির রাখতে পারেননি হানিপ্রীত। ছুটে যান মেদান্তে।