নয়াদিল্লি: বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সংঘাতের আবহ। এই পরিস্থিতিতে মহাত্মা গান্ধীর অহিংসার বার্তা আরও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। আর গান্ধীজির দর্শন বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দিতে উদ্যোগী হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে গান্ধীজিকে শ্রদ্ধার্ঘের মাধ্যমে মহাত্মার মাহাত্ম্য প্রচার করে চলেছেন তিনি। গায়ানা সফরে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে শ্রদ্ধার্ঘ জানাবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এর আগে ২০ বার তিনি বিদেশের মাটিতে গান্ধীজির মূর্তিতে শ্রদ্ধার্ঘ জানিয়েছেন।
গত ২৩ অগস্ট ইউক্রেন সফরে গিয়ে গান্ধীজির মূর্তিতে শ্রদ্ধার্ঘ জানান তিনি। ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে প্রায় আড়াই বছর ধরে চলা যুদ্ধের আবহে যা যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা। অহিংস আন্দোলনের পুরোধা গান্ধীজিকে শ্রদ্ধার্ঘের মাধ্যমে যুদ্ধের বদলে শান্তির বার্তা দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
আবার গত বছরের ২১ জুন বিশ্ব যোগা দিবসে আমেরিকায় রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতরে মহাত্মা গান্ধীকে শ্রদ্ধার্ঘ জানান মোদী। বিশ্বে শান্তি স্থাপনের উদ্যোগে ভারতের সংস্কৃতিকে তুলে ধরেন। ২০২৩ সালের মে মাসে জাপানের হিরোসিমাকে মহাত্মা গান্ধীর একটি আবক্ষ মূর্তির উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ‘দগদগে ঘা’ বয়ে বেড়াচ্ছে হিরোসিমা। ফলে এখানকার মানুষ বোধহয় শান্তির প্রয়োজনীয়তা বোঝেন।
বিশ্বজুড়ে গান্ধীজির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ অনেকদিন আগেই নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ২০১৯ সালে আবু ধাবি সফরে গিয়েছিলেন মোদী। সেখানে গান্ধীজির শান্তির বার্তা সম্বলিত একটি স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করেন। ওই বছরই দক্ষিণ কোরিয়ার সিওলে গান্ধীজির একটি আবক্ষ মূর্তির উন্মোচন করেন মোদী।
মহাত্মা গান্ধীর ১৫০ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে ২০১৯ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতরে গান্ধীজিকে নিয়ে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন মোদী। রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতরে গান্ধী সোলার পার্কের উদ্বোধন করেন। ২০১৭ সালে পর্তুগালের লিসবনে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তির উন্মোচন করেন তিনি।
২০১৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে গান্ধীজিকে নিয়ে বিশেষ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেছিলেন মোদী। এখানে গান্ধীজির দর্শনের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। পরদিন ডারবানে গান্ধীজির মূর্তিতে শ্রদ্বার্ঘ জানান তিনি। ২০১৬ সালের ১১ জুলাই কেনিয়ায় নাইরোবি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে গান্ধীজিকে শ্রদ্ধার্ঘ জানান মোদী। ২০১৫ সালের ১২ জুলাই কিরগিজস্তানের বিশকেকে গান্ধীজির মূর্তি উন্মোচন করেন।
২০১৫ সালের ১৬ মে চিনের সাংঘাইয়ের ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়ে গান্ধীর দর্শন ও ভারতীয় শিক্ষা নিয়ে একটি সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়। সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর ব্রিটেনের সংসদের বাইরে গান্ধীজিকে শ্রদ্ধার্ঘ জানান মোদী। ওই বছরের ১২ এপ্রিল জার্মানিতে গান্ধীজির আবক্ষ মূর্তির তিনি উন্মোচন করেন। ২০১৫ সালের ১২ মার্চ মরিশাসের গান্ধীজির মূর্তিতে শ্রদ্ধার্ঘ জানান মোদী। ২০১৪ সালের ১৬ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেন এবং ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটনে গান্ধীজিকে শ্রদ্ধার্ঘ জানান প্রধানমন্ত্রী।