বস্তার: ছত্তীশগঢ়ে বস্তার ডিভিশন। একসময় এই এলাকায় পোস্টিং পড়লে বুকের ভিতর অবধি কেঁপে উঠত পুলিশ-জওয়ানদের। চিন্তা বাড়ত। বেশিদিন নয়, বছর দেড়েক আগেও ছবিটাও এই রকমই ছিল। কারণ একটাই মাওবাদী কার্যকলাপ। কে সাধারণ মানুষ আর কেই বা মাওবাদী? বোঝা প্রবল কঠিন। এই যে বন্ধু, দিন পেরলেই সে হয়ে যেতে পারে শত্রু। কোনও অ্যাকশন ছবির প্লটের থেকে বিন্দু মাত্র কম নয় বস্তার।
কিন্তু ৭৬ তম প্রজাতন্ত্র দিবসে এই বস্তারেই ফুটে উঠল অন্যরকম ছবি। কালো পতাকা কিংবা গোলা-বারুদ নয়। বস্তারের সাধারণ মানুষ হাতে তুলে নিল দেশের পতাকা। দুই দশক পর ছত্তীশগঢ়ের এই এলাকায় মাথা তুলে দাঁড়াল তিরঙ্গা। কমলা, সাদা ও সবুজ রঙ ঢেকে দিল বস্তারের অন্ধকার।
এদিন বস্তারের রেঞ্জের আইজি পি সুন্দারাজ বলেন,’এই প্রথমবার বস্তারের প্রায় ৩০টি গ্রামে দেশের পতাকা উড়ল। সম্প্রতি, বস্তার ডিভিশনের ১৪টি এলাকায় নতুন নিরাপত্তা ঘাঁটি তৈরি করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। যার মধ্যে বিজাপুর ও সুকমা জেলাতেই তৈরি হয়েছে ৫টি ক্যাম্প, নারায়ণপুরে তৈরি হয়েছে ৪টি ক্যাম্প।’
বস্তার ডিভিশনের ত্রাস এই বিজাপুর ও সুকমা জেলা। জঙ্গলে পরিপূর্ণ হওয়ায় এই এলাকাগুলিতে ঘাঁটি তৈরি করে থাকে মাওবাদীরা। চলতি মাসেরই শুরুর দিকে এই এলাকায় একটি যৌথ অভিযান চালায় স্পেশাল টাস্ক ফোর্স ও কেন্দ্রীয় আধাসেনা।
অভিযানের মাঝেই বাহিনীর উপর হামলা চালায় মাওবাদীরা। বেশ খানিক ক্ষণ ধরে চলে গুলির লড়াই। কোনও হতাহতে ঘটনা ঘটেনি। তবে মাওবাদীদের বসানো ১০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক-সহ আইইডি উদ্ধার করেছে যৌথ সেনা।