বাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার পাঁচ কঙ্কাল! আতঙ্কে গ্রামবাসীরা
২০২৯ সালের জুন-জুলাই মাস থেকেই ওই পরিবারের বাড়ির দরজা বন্ধ ছিল। তাঁরা না মেশার কারণে কেউ খোঁজও নেননি। সম্প্রতি গ্রামের লোকেরা দেখতে পান, ওই বাড়ির কাঠের সদর দরজা ভাঙা। এর পর এক ব্যক্তি ভিতরে ঢুকে দেখতে পান, বাড়ির ভিতর ভাঙাচোরা অবস্থা। এবং ঘরে ছড়িয়ে রয়েছে কয়েক জনের কঙ্কাল।

বেঙ্গালুরু: কর্নাটকের চিত্রদুর্গা জেলার এক গ্রামে থাকত একই পরিবারের পাঁচ জন। গ্রামের লোকেদের সঙ্গে খুব একটা মেলামেশা করতেন না তাঁরা। নিজেদের আদালাই রাখতেন বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে শেষ বার দেখা গিয়েছিল তাঁদের। তখন থেকেই বন্ধ ছিল তাঁদের বাড়ি। বৃহস্পতিবার ওই বাড়ির মধ্যে থেকে ওই পরিবারের পাঁচ সদস্যের কঙ্কাল উদ্ধার হয়েছে। ঘটনা নিয়ে ব্যাপক হইচই পড়েছে ওই এলাকায়।
২০২৯ সালের জুন-জুলাই মাস থেকেই ওই পরিবারের বাড়ির দরজা বন্ধ ছিল। তাঁরা না মেশার কারণে কেউ খোঁজও নেননি। সম্প্রতি গ্রামের লোকেরা দেখতে পান, ওই বাড়ির কাঠের সদর দরজা ভাঙা। এর পর এক ব্যক্তি ভিতরে ঢুকে দেখতে পান, বাড়ির ভিতর ভাঙাচোরা অবস্থা। এবং ঘরে ছড়িয়ে রয়েছে কয়েক জনের কঙ্কাল। এর পরই গ্রামবাসীরা খবর দেয় পুলিশকে। পুলিশ এসে কঙ্কাল উদ্ধার করে ফরেন্সিক পরীক্ষারক জন্য পাঠিয়েছে। এবং এই বাড়িটিও সিল করে দিয়েছে পুলিশ।
ঘটনা নিয়ে এক পুলিশ অফিসার বলেছেন, “গ্রামবাসীরা জানিয়েছে, ২০১৯ সাল থেকেই ওই পরিবারের কাউকে আর দেখা যায়নি। তাঁরা কোনও রোগে আক্রান্ত ছিলেন বলেও গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন। বাড়িটি সব সময় তালাবন্ধ থাকত। দুমাস আগে দরজা ভাঙা অবস্থায় দেখতে পান গ্রামবাসীরা। কোনও প্রমাণ যাতে নষ্ট না হয়, আমরা বাড়িটি সিল করে দিয়েছি।” যদিও কী কারণে ওই পরিবারের লোকেদের মৃত্যু হয়েছে তা এখন পরিষ্কার নয় বলে জানিয়েছে ওই পুলিশ অফিসার। ময়নাতদন্ত এবং ফরেন্সিক রিপোর্ট এলে সে ব্যাপারে আন্দাজ পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন ওই পুলিশ অফিসার। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।





