করোনাকালে মনোবল বাড়াবেন আজিম প্রেমজি থেকে মোহন ভাগবত, ৪ দিনের বিশেষ উদ্যোগ আরএসএসের

অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তাদের মধ্যে রয়েছেন উইপ্রোর চেয়ারম্যান আজিম প্রেমজি, ইনফোসিসের চেয়ারপার্সন সুধা মূর্তি, সাধগুরু জাগ্গি বাসুদেব, শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর, নির্মল সন্ত আখড়ার জ্ঞানদেবীজী, তিরাপান্থি জৈন সমাজের প্রধান জৈন মুনী প্রাণনাথ ও আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত।

করোনাকালে মনোবল বাড়াবেন  আজিম প্রেমজি থেকে মোহন ভাগবত, ৪ দিনের বিশেষ উদ্যোগ আরএসএসের
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: May 09, 2021 | 3:21 PM

নয়া দিল্লি: করোনা কেবল শরীরেই নয়, মনেও প্রভাব ফেলছে। নিভৃতবাসে থাকতে গিয়ে অনেকেই মানসিক রোগের শিকার হয়ে পড়ছেন। এই পরিস্থিতিতে কোভিড রেসপন্স টিম ও রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের তরফে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হল। চারদিন ধরে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উইপ্রোর চেয়ারম্যান আজিম প্রেমজি থেকে শুরু করে ইনফোসিসের চেয়ারপার্সন সুধা মূর্তি ও আরএসএসের প্রধান মোহন ভাগবত বক্তব্য রাখবেন।

“পজ়েটিভিটি আলিমিটেড” নামক এই অনুষ্ঠান শুরু হবে ১১ মে থেকে, চলবে ১৪ মে অবধি। প্রতিদিন দুজন বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব টিভিতে ১৫ মিনিটের জন্য বক্তব্য রাখবেন। এই কঠিন সময়ে কীভাবে মন ও শরীরকে পজেটিভ রাখা যায় এবং কীভাবে করোনার সঙ্গে যুদ্ধ চালাবেন, তা নিয়ে কথা বলবেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তাদের মধ্যে রয়েছেন উইপ্রোর চেয়ারম্যান আজিম প্রেমজি, ইনফোসিসের চেয়ারপার্সন সুধা মূর্তি, সাধগুরু জাগ্গি বাসুদেব, শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর, নির্মল সন্ত আখড়ার জ্ঞানদেবীজী, তিরাপান্থি জৈন সমাজের প্রধান জৈন মুনী প্রাণনাথ ও আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত।

অনুষ্ঠানের প্রধান উদ্যোক্তা সংঘরের কোভিড রেসপন্স টিমের প্রধান লেফউটেন্যান্ট জেনারেল গুরমিত সিং বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হল সাধারণ মানুষের মনোবল বাড়ানো ও করোনার বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াইয়ের বার্তা দেওয়া। আমরা একদিন এই যুদ্ধে জিতবই, এই ধারণাকেই প্রচার করতে চাই আমরা।”

সংঘের মুখপাত্র বলেন, “কোভিড রেসপন্স টিম আরএসএসের সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। আমাদের সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির বিশিষ্ট ব্যক্তিদের একজোট করে বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করার জন্য মনোবল জোগাতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”

রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের তরফেও একটি বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়, কোভিড রেসপন্স টিমের মাধ্যমে ৫০০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। সেখানে অক্সিজেনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এছাড়া হাসপাতালে ভর্তির জন্য অপেক্ষারত রোগীদের জন্য ছ’টি শয্যা বিশিষ্ট সাতটি অক্সিজেন অন হুইলসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রায় ২৮ হাজার করোনা রোগীদের প্রতিনিয়ত খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়াও ৮০৩টি প্লাজমা দান, ১৩০০ সিটি স্ক্যানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণে মৃত ২৬১৯ জনের দেহ সৎকারের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ১২০০ স্বেচ্ছাসেবক ও ১৩০ জন চিকিৎসক নিয়ে একটি হেল্পলাইন সেন্টারও তৈরি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: কবে মাটিতে নামবে আকাশছোঁয়া দৈনিক সংক্রমণ? পূর্বাভাস প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার