অপহরণ করে শিক্ষিকাকে ধর্ষণ স্কুলের প্রিন্সিপালের! অপহৃত নির্যাতিতার খোঁজ করছে পুলিশ
Uttar Pradesh: ধর্ষণের ঘটনার ভিডিয়ো তুলে ব্ল্যাকমেলেরও অভিযোগ উঠেছে ওই প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে। অপহৃত হওয়া ওই শিক্ষিকার এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
শাহজাহানপুর: মহিলাদের উপর যৌন নির্যাতনের ঘটনার কোনও বিরাম নেই। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রোজই বিভিন্ন বয়সী মহিলারা নিগ্রহের শিকার হন। স্কুলের শিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল সেই স্কুলেরই প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে। ওই শিক্ষিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত প্রিন্সিপালকে। ধর্ষণের ঘটনার ভিডিয়ো তুলে ব্ল্যাকমেলেরও অভিযোগ উঠেছে ওই প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে। অপহৃত হওয়া ওই শিক্ষিকার এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাঁর খোঁজ চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের শাহজাহানপুরে। সে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী ওই নির্যাতিতার পরিবারের লোকেদের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং অপহৃতকে দ্রুত খুঁজে বের করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
শাহজাহানপুরের একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন ২২ বছরের যুবতী। পুলিশে দায়ের করা এফআইআর অনুসারে, মাস দুয়েক আগে ‘স্কুল সংক্রান্ত কাজের জন্য’ ওই শিক্ষিকাকে স্কুলে ডেকে পাঠিয়েছিলেন অভিযুক্ত প্রিন্সিপাল। সেখানে ওষুধ মেশানো পানীয় খাইয়ে ওই শিক্ষিকাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার ভিডিয়ো তুলে রেখেছিলেন অভিযুক্ত। তা দেখিয়ে প্রায়শই শিক্ষিকাকে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে প্রিন্সিপাল বাধ্য করতেন বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনার কথা বাড়ির লোকেদের ২৬ জুলাই জানিয়েছিলেন ওই নির্যাতিতা শিক্ষিকা। তখন শিক্ষিকার বাবা প্রিন্সিপালকে ফোন করে ভিডিয়ো ডিলিটের জন্য বলেন। না করলে পুলিশি ব্য়বস্থা নেওয়ারও হুশিয়ারি দেন। তখন ওই প্রিন্সিপাল দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ নির্যাতিতার পরিবারের। এর পরই নিখোঁজ ২২ বছরের ওই স্কুল শিক্ষিকা। প্রিন্সিপালই তাঁকে অপহরণ করিয়েছেন বলে অভিযোগ।
অভিযোগ পেয়ে পুলিশ গ্রেফতার করেছে অভিযুক্ত স্কুল প্রিন্সিপালকে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধিক ৩৬৬ (অপরহণ), ৩৭৬ (ধর্ষণ) এবং ৫০৬ (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) ধারায় মামলা দায়ের করেছে। তথ্য প্রযুক্তি আইনেও মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার এস আনন্দ। তিনি বলেছেন, “তদন্তকারী অফিসাররা অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। আমরা ভিডিয়ো উদ্ধার করেছি। শাহজাহানপুরের একটি হোটেলে তোলা হয়েছিল সেটি। নির্যাতিতার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশের চারটি দল। শীঘ্রই তাঁকে খুঁজে বের করা হবে।” নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়েছিলেন উত্তর প্রদেশের অর্থমন্ত্রী সুরেশ খান্না। তিনিও নির্যাতিতাতে খুঁজে বের করার আশ্বাস দিয়েছেন।