তৃতীয় ডোজ়েরও পরিকল্পনা সেরাম সংস্থার, কত মাসের ব্যবধানে নিতে বলা হচ্ছে টিকা?
ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ়ের মধ্যে কতদিনের ব্যবধান রাখা উচিত, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "দুটি ডোজ়ের মধ্যে আদর্শ ব্যবধান হল দুই মাস। যেহেতু টিকার জোগানে ঘাটতি রয়েছে, তাই কেন্দ্রের তরফে দুটি ডোজ়ের মধ্যে তিন মাসের ব্যবধান রাথা হয়েছে।"
পুণে: আমেরিকাতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বুস্টার ভ্যাকসিনের (Booster Vaccine)। ব্রিটেনেও চলছে জোরকদমে প্রস্তুতি। করোনার একাধিক নতুন ভ্যারিয়েন্টকে রুখতে এবং কম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাযুক্ত ব্যক্তিের অতিরিক্ত সুরক্ষা দিতেই একাধিক দেশে বুস্টার ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়েছে। ভারতীয়দেরও কি প্রয়োজন এই ভ্যাকসিনের? এই প্রশ্নের উত্তর দিলেন সেরাম ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়া(Serum Institute of India)-র চেয়ারম্যান সাইরাস পুনাওয়ালা (Cyrus Poonawala)।
শুক্রবার তিনি লোকমান্য তিলক পুরস্কার পান। এরপর সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, কোভিশিল্ড(Covishield)-র দুটি ডোজ়ের মধ্যে দুই মাসের ব্যবধান রাখা উচিত। যদি তৃতীয় ডোজ় নিতে হয়, তবে তা দ্বিতীয় ডোজ়ের ছয় মাস পরে নেওয়া উচিত। সম্প্রতি ল্য়ান্সেট মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল কোভিশিল্ড নেওয়ার পরে দেহে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, তা কয়েক মাস পর থেকে কমতে থাকে। এই বিষয়ে সাইরাস পুনাওয়ালাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “এটা সত্যি যে অ্যান্টিবডি কমে যায়, তবে দেহে মেমরি সেল থেকেই যায়।”
বিষয়টি বিস্তারিতভাবে বোঝাতে তিনি বলেন, “ছয় মাস পর থেকে ধীরে ধীরে অ্যান্টিবডি কমতে থাকে, সেই কারণেই আমি ছয় মাস বাদে তৃতীয় ডোজ় নিয়েছি। সেরাম ইন্সটিটিউটের প্রায় সাত থেকে আট হাজারস কর্মচারীকে তৃতীয় ডোজ় দেওয়া হয়েছে। যাদের দ্বিতীয় ডোজ় নেওয়া হয়ে গিয়েছে, তাদের কাছে আমার অনুরোধ ছয় মাস বাদে আপনারাও তৃতীয় ডোজ় নিন।”
ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ়ের মধ্যে কতদিনের ব্যবধান রাখা উচিত, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “দুটি ডোজ়ের মধ্যে আদর্শ ব্যবধান হল দুই মাস। যেহেতু টিকার জোগানে ঘাটতি রয়েছে, তাই কেন্দ্রের তরফে দুটি ডোজ়ের মধ্যে তিন মাসের ব্যবধান রাথা হয়েছে। তবে দুই মাসের ব্যবধানই আদর্শ সময়।”
লকডাউন প্রসঙ্গেও তিনি জানান, করোনা মোকাবিলায় সঠিক ও কার্যকর পদ্ধতি ছিল না লকডাউন। তিনি বলেন, “যদি লকডাউন না হত, তবে প্রথম থেকেই সকলে এই ভাইরাসের সংস্পর্শে আসত এবং ধীরে ধীরে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হয়ে যেত। হার্ড ইমিউনিটির সপক্ষে বলছি কারণ করোনা সংক্রমণের কারণে মৃত্যু হার যথেষ্ট কম। যদি মৃত্যুহার বেশি হয়, সেই সময় লকডাউনের প্রয়োজনীয়তা থাকে।”
দেশের কয়েক কোটি মানুষের সংক্রমিত হওয়া এবং লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যুর কারণ হিসাবে অসচেতনতা ও অবহেলাকেই দায়ী করেছেন সাইরাস পুনাওয়ালা। তিনি জানান, দেশে করোনায় অধিকাংশ মৃত্যুই হয়েছে সংক্রমণকে অবহেলা করা ও চিকিৎসকের কাছে দেরীতে পৌঁছনোর কারণে। যদি সংক্রমণের শুরুতেই চিকিৎসকের পরামর্শে চিকিৎসা শুরু সম্ভব, তবে মৃত্যু এড়ানো যায়। আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় মিলছে না সাংবাদিক বৈঠকের অনুমতি, বুথ-স্তরে শিকড় শক্ত করার কাজ শুরু করল ঘাসফুল