COVID Vaccine Export: সাহায্যের হাত বাড়াচ্ছে ভারত, চলতি মাসেই প্রতিবেশী দেশগুলি পাবে কোভিশিল্ড-কোভ্যাক্সিনের টিকা

India to Export COVID Vaccine: "ভ্যাকসিন মৈত্রী"র অধীনে ভারত বায়োটেক সংস্থা চলতি মাসেই ইরানে ১০ লক্ষ কোভ্যাক্সিনের টিকা পাঠাবে, তেমনই সেরাম ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়াও নেপাল, মায়ানমার ও বাংলাদেশে ১০ লক্ষ করে কোভিশিল্ড টিকার ডোজ় পাঠাবে।

COVID Vaccine Export: সাহায্যের হাত বাড়াচ্ছে ভারত, চলতি মাসেই প্রতিবেশী দেশগুলি পাবে কোভিশিল্ড-কোভ্যাক্সিনের টিকা
বিদেশে পাঠানো হবে কোভিশিল্ড ও কোভ্য়ক্সিনের টিকা। ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 08, 2021 | 2:47 PM

নয়া দিল্লি: ১০০ কোটি টিকাকরণের মাইলফলকের দিকে দ্রুত এগোচ্ছে দেশ। মার্চ-এপ্রিল মাসে দেশজুড়ে যে টিকার আকাল দেখা দিয়েছিল, একাধিক টিকা অনুমোদন পাওয়ায় সেই সঙ্কটও দূর হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গতমাসেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল যে, ফের বিদেশে টিকা রফতানি (Vaccine Export) শুরু করবে ভারত। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবারই সেরাম ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়া(Serum Institute of India)  ও ভারত বায়োটেক (Bharat Biotech) সংস্থাকে টিকা রফতানির অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র।

একদিকে যেমন “ভ্যাকসিন মৈত্রী”র অধীনে ভারত বায়োটেক সংস্থা চলতি মাসেই ইরানে ১০ লক্ষ কোভ্যাক্সিনের টিকা পাঠাবে, তেমনই সেরাম ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়াও নেপাল, মায়ানমার ও বাংলাদেশে ১০ লক্ষ করে কোভিশিল্ড টিকার ডোজ় পাঠাবে। একইসঙ্গে সেরাম সংস্থাকে প্রায় ৩ কোটি কোভিশিল্ড ব্রিটেনে অ্যাস্ট্রাজেনেকা সংস্থার কাছেও পাঠানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সূত্রের খবর, গত অগস্ট মাসেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যের কাছ থেকে কোভিশিল্ডের কনসানট্রেটেড সলিউশন ব্রিটেনে অ্যাস্ট্রাজেনেকা সংস্থার কাছে পাঠানোর জন্য অনুমতির আবেদন করা হয়েছিল। অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ প্রচেষ্টায় কোভিশিল্ডের টিকা তৈরি হওয়ায় চুক্তির অধীনেই এই বিপুল পরিমাণ টিকা পাঠাতে হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

গত ২০ সেপ্টেম্বরই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য জানিয়েছিলেন, ২০২১ সালের চতুর্থ ভাগ থেকেই ফের ভ্যাকসিন মৈত্রীর অধীনে বিদেশে করোনা টিকা রফতানি করা হবে।  কোভ্যাক্সের অধীনেও ভারত যে পরিমাণ টিকা সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা পূরণ করা হবে।

সূত্রের খবর, চলতি মাসেই ভ্যাকসিন মৈত্রীর অধীনে ভারত বায়োটেক ১০ লক্ষ কোভ্যাক্সিনের টিকা দেবে ইরানকে। অন্যদিকে সেরাম সংস্থা নেপাল, বাংলাদেশ ও মায়ানমারে ১০ লক্ষ ডোজ় করে কোভিশিল্ডের টিকা পাঠাবে।

ইতিমধ্য়েই টিকা উৎপাদনের পরিমাণ বাড়িয়েছে সেরাম সংস্থা। বর্তমানে তারা প্রতি মাসে ২০ কোটি করোনা টিকা উৎপাদন করছে এবং সংস্থার তরফে কেন্দ্রকে জানানো হয়েছে, অক্টোবর মাস থেকেই প্রতি মাসে ২২ কোটি উৎপাদন করতে সক্ষম হবে সংস্থা। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই সেরাম সংস্থার বকেয়া ৬৬ কোটি টিকাও বিভিন্ন দেশে সরবরাহ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

ভারত বায়োটেকও প্রতি মাসে প্রায় ৩ কোটির কাছাকাছি করোনা টিকা উৎপাদন করছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই মাসিক উৎপাদন ৫ কোটিতে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে হায়দরাবাদের সংস্থা।

উল্লেখ্য, কোভিশিল্ডের অনুমোদন পাওয়ার পরই বাংলাদেশে উপহার স্বরূপ ২০ লক্ষ টিকা পাঠানো হয়েছিল। পরে সেরাম ইন্সটিটিউটকে দেড় কোটি টিকার অর্ডার দেওয়া হয় বাংলাদেশের তরফে। হিসাব মতো প্রতি মাসে ৫০ লক্ষ টিকা পাঠানোর কথা ছিল ভারতীয় সংস্থার। জানুয়ারিতে ৫০ লক্ষ টিকা এলেও ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল স্রেফ ২০ লক্ষ টিকা। তারপর আর কোনও টিকা রফতানি করা হয়নি।