Jagdeep Dhankhar: ‘নীচে নামার একটা সীমা থাকে…’, কল্যাণ-কাণ্ডে রাহুলেরও নিন্দা ধনখড়ের
Jagdeep Dhankhar: শুধু কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ই নয়, কল্যাণের ভেঙানোর ওই মুহূর্তের ভিডিয়ো রেকর্ড করে ধনখড়ের রোষাণলে পড়েছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীও। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিরোধী সাংসদদের নিন্দা করেছে বিজেপিও। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, সংসদীয় গণতন্ত্রকে এক নতুন নিম্ন স্তরে নিয়ে গেলেন বিরোধীরা।
নয়া দিল্লি: সংসদের তাঁকে ভেঙানোর জন্য মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর), রাজ্যসভার ভিতরে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্য়োপাধ্যায়ের তীব্র নিন্দা করলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখর। শুধু কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ই নয়, কল্যাণের ভেঙানোর ওই মুহূর্তের ভিডিয়ো রেকর্ড করে ধনখড়ের রোষাণলে পড়েছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীও। এদিন বিরোধী সাংসদরা, সংসদ থেকে গণহারে বিরোধী সাংসদদের সাসপেন্ড করার বিরুদ্ধে, সংসদের বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। সেখানেই এই ঘটনা ঘটে। কল্যাণের অঙ্গভঙ্গি দেখে হাসিতে ফেটে পড়েছিলেন সাসপেন্ড হওয়া বিরোধী সাংসদরা। এই ঘটনাটিকে ধনখড় ‘হাস্যকর, লজ্জাজনক এবং অগ্রহণযোগ্য’ বলেছেন।
রাজ্যসভায় উপস্থিত বিরোধী সাংসদদের উদ্দেশে তিনি বলেন, নীচে নামার একটা সীমা থাকে। এক দলের সদস্য রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের নকল করছেন। অন্য এক দলের এক সিনিয়র সদস্য তার ভিডিয়ো রেকর্ড করছেন। এটা অত্যন্ত হাস্যকর, অত্যন্ত লজ্জাজনক এবং অগ্রহণযোগ্য।”
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিরোধী সাংসদদের নিন্দা করেছে বিজেপিও। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, সংসদীয় গণতন্ত্রকে এক নতুন নিম্ন স্তরে নিয়ে গেলেন বিরোধীরা। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্য়াটফর্ম এক্সে বিজেপির পক্ষ থেকে এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সঙ্গের ক্যাপশনে তারা লিখেছে, “দেশের উপরাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে সংসদ ভবন চত্বরে রাহুল গান্ধী এবং অহংকারী জোটের সদস্যরা অপমান করেছে। এটা লজ্জাজনক।”
আইন ও বিচার মন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়ালও ঘটনার নিন্দা করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বরখাস্ত করার দাবি তুলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘সংসদ কক্ষ ও চেয়ারম্যানের কর্তৃত্বকে অবজ্ঞা করা এই সাংসদকে বরখাস্ত করা উচিত।’
বিজেপি মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা এক্স-এ লিখেছেন, “সংসদকে এবং সাংবিধানিক পদগুলি উপহাস করা ওদের (বিরোধীদের) ডিএনএ-তে ঢুকে গিয়েছে। মনে রাখতে হবে, কীভাবে তারা ‘মোদী কি কবর খুদেগি’ বলেছিল এবং তাঁর ওবিসি পরিচয় নিয়ে উপহাস করেছিল। প্রধানমন্ত্রী পদের অবমাননা করা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপতিকে ‘রাষ্ট্রপত্নী’ বলা থেকে এখন রাজস্থানের ওবিসি সমাজ থেকে এসে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি হওয়া এক ব্যক্তিকে অপমান করল ওরা। এটাই ইন্ডি জোটের সত্যিকারের চরিত্র।”