সীমা পেরোলে ইউপিএসসি-তে বসার সুযোগ নয়, পরীক্ষার্থীদের আবেদন ‘অজুহাত’ বলে উড়িয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট
করোনা পরিস্থিতির জন্য পড়াশোনা হয়নি, এমন দাবি মানতে নারাজ শীর্ষ আদালত (Supreme Court)।
নয়া দিল্লি: করোনা পরিস্থিতির জন্য পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটেছে। তাই আরও একবার পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেওয়া হোক। এমনই আবেদন জানিয়েছিলেন ইউপিএসসি (UPSC) পরীক্ষার্থীরা। যাঁদের পরীক্ষা দেওয়ার সর্বোচ্চ সীমা পেরিয়ে গিয়েছে তাঁরা আর একবার বসার আর্জি জানিয়েছিলেন, কিন্তু সেই আবেদনকে ‘অজুহাত’ বলে নাকচ করে দিল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। করোনার জেরে যাদের গত বছর শেষ সুযোগ ছিল, তাদের আর অতিরিক্ত সুযোগ দেওয়া হবে না। বুধবার এমনটাই জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
২০২০-র অক্টোবরে ছিল সেই পরীক্ষা। এই বছর যাঁরা পরীক্ষা দিয়েছেন এদের মধ্যে অনেকের বয়সসীমা পেরিয়ে গিয়েছে। ফলে তাঁদের এবার আর দেওয়া হবে না। ২০২০-তেই ছিল তাঁদের শেষ সুযোগ। সেই কারণে আরেকবার সুযোগের জন্য আবেদন করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু এ দিন বিচারপতি খানউইলকর, ইন্দু মালহোত্রা ও অজয় রাস্তোগির বেঞ্চে এই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। ৯ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষ হওয়ার পর রায় সংরক্ষিত রেখেছিল শীর্ষ আদালত। করোনা পরিস্থিতির জন্য পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটেছে, এমন অজুহাত মানতে নারাজ আদালত। শীর্ষ আদালতের তরফে এদিন বলা হয়েছে, অতিরিক্ত সুযোগ নেওয়ার জন্য এটা একটা অযথা অজুহাত ছাড়া আর কিছুই নয়।
প্রসঙ্গত, প্রথমে আপত্তি জানালেও শেষে একবার সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে কিছুটা রাজি হয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সব দিক বিচার করে আবেদন খারিজ করেছে। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী জেনারেল ক্যাটাগরির পরীক্ষার্থীরা ৩২ বছর বয়স অবধি ৬ বার বসতে পারেন। ওবিসিদের ৩৫ বছর বয়স অবধি নয়বার সুযোগ ও তফশিলী জাতি ও উপজাতিভুক্ত পরীক্ষার্থীরা যতবার খুশি পরীক্ষা দিতে পারেন ৩৭ বছর অবধি। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল যে বয়সের উর্ধ্বসীমা শিথিল করা যায়, কিন্তু তাতে রাজি হয়নি কেন্দ্র। কেন্দ্র বলে যে একবার এরকম সুযোগ দিলে এই বিষয়টি একেবারে হাতের বাইরে চলে যাবে।
আরও পড়ুন: ল্যাপটপ, ট্যাবলেট উৎপাদনে বিশ্বের ‘চ্যাম্পিয়ন’দের ভারতে আনাই লক্ষ্য, বিশেষ ঘোষণা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
ইউপিএসসি প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয় গত বছর ৪ অক্টোবর। সুপ্রিম কোর্ট এর আগে বলেছিল যে কেন্দ্র যেটা বলেছে যে সুযোগের ক্ষেত্রে তারা নিয়ম লঘু করতে পারে কিন্তু বয়সের ক্ষেত্রে সম্ভব নয়, সেটা যেন আবেদনকারীরা মেনে নেয়।