SC on SIR: ‘৭টার থেকে ১১টা নথি ভাল’, বিহারের SIR ভোটার বান্ধব বলল সুপ্রিম কোর্ট
Supreme Court: বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেন, "বিহারকে এভাবে তুলে ধরবেন না। দেশ জুড়ে পরিষেবার ক্ষেত্রে বিহার থেকেই সবথেকে বেশি প্রতিনিধিত্ব। সর্বাধিক আইএএস, আইপিএস. আইএফএস অফিসাররা বিহার থেকে আসেন।"

নয়া দিল্লি: বিহারের ভোটার তালিকায় নিবিড় পরিমার্জন বা স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশনকে ভোটার-বান্ধব বলেই উল্লেখ করল সুপ্রিম কোর্ট। বৈধ ভোটার চিহ্নিতকরণের ক্ষেত্রে আধার কার্ড বাদ দেওয়ার প্রসঙ্গে অন্যান্য নথি যোগ করার বিষয়টি তুলে ধরে শীর্ষ আদালত।
এ দিন সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চে শুনানি চলছিল। আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বিহারের এসআইআরের বিরোধিতা করে সওয়াল করছিলেন। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী বলেন, “আধার বাদ দেওয়া নিয়ে আপনার কথা বুঝতে পারছি। তবে বৈধ ভোটার যাচাইয়ের জন্য তথ্য ভোটার-বান্ধব। নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য নথির সংখ্যা দেখুন। এতে ভোটারদের আরও অপশন দেওয়া হচ্ছে, ৭টার বদলে ১১টি নথি রয়েছে।”
বিচারপতি সূর্য কান্তও সঙ্গে সঙ্গে বলেন, “যদি ১১টি নথিই চাওয়া হত, তবে তা ভোটার-বিরোধী হত। কিন্তু যদি একটা নথি চাওয়া হয়, তবে… “। আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন, “বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া দেখুন, যদি জমি না থাকে, তবে অপশন ৫,৬,৭ বাদ চলে যাবে। অপশন ১ ও ২-র অস্তিত্বই নেই। রেসিডেন্স সার্টিফিকেট নেই। পাসপোর্ট অীক বিষয়।”
বিচারপতি সূর্য কান্ত তাঁকে থামিয়ে বলেন, “বিহারকে এভাবে তুলে ধরবেন না। দেশ জুড়ে পরিষেবার ক্ষেত্রে বিহার থেকেই সবথেকে বেশি প্রতিনিধিত্ব। সর্বাধিক আইএএস, আইপিএস. আইএফএস অফিসাররা বিহার থেকে আসেন। যদি যুব প্রজন্ম অনুপ্রাণিত না হয়, তাহলে এটা হবে না।”
আইনজীবী সিংভি বলেন, “বিহার থেকে অনেক ট্যালেন্টেড বিজ্ঞানীও রয়েছে, কিন্তু তা সীমিত জনসংখ্যা। বিহারে গ্রামাঞ্চল, বন্যা দুর্গত এলাকাও রয়েছে। চরম দারিদ্রতা রয়েছে। তাদের জন্য ১১টি নথির তালিকা তৈরি করার অর্থ কী? বিহারের অধিকাংশ মানুষের কাছে এই নথি নেই। বিহারের কেবল ১ থেকে ২ শতাংশ মানুষের কাছেই পাসপোর্ট রয়েছে।” সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চের তরফে এর জবাবে বলে, “৩৬ লক্ষ পাসপোর্ট যথেষ্ট ভাল সংখ্যা।”
এরপরে আইনজীবী সিংভি বলেন যে ভোটার লিস্ট থেকে নাম বাদ দেওয়ার বিরোধিতা বা এই প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করছেন না। তিনি বলেন, “ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নিয়ম-প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। এটা স্বাভাবিক আইনের পরিপন্থী।”
নির্বাচন কমিশন নাগরিকত্বের প্রমাণ নিয়ে নিজের অবস্থান বদল করেছে, এ কথা বলে অভিষেক মনু সিংভি বলেন, “জাতীয় নির্বাচন কমিশন নাগরিকত্বের প্রমাণ নিয়ে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়েছে। কেউ একজন আপত্তি করছেন এবং বলছেন যে এক্স ব্যক্তি নাগরিক নন। এরপর ইআরও নোটিস জারি করেন এবং জবাব দেওয়ার জন্য সময় দেন। কীভাবে মাক্রো-জুডিশিয়াল টাস্ক কীভাবে ২ মাসের মধ্যে শেষ করতে পারবেন? ডিসেম্বরের পর থেকে এসআইআর করুন, এক বছর নিন, কারোর আপত্তি থাকবে না।”

