Suvendu Adhikari: মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে করা পিটিশন প্রত্যাহার শুভেন্দুর, কেন?
এই আবেদনটি কলকাতা হাইকোর্টে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেয় বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ।
নয়া দিল্লি: মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে করা পিটিশন প্রত্যাহার করে নিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভার স্পিকারের সিদ্ধান্তকেdu Adhikari: চ্যালেঞ্জ জানিয়েই সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন করেছিলেন তিনি। শুক্রবার বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে পিটিশন প্রত্যাহার করে নিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে স্পিকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর আবেদনের শুনানি বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে। বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে কলকাতা হাইকোর্টকে বাইপাস করে সুপ্রিম কোর্টে শুভেন্দু অধিকারীর পিটিশন করা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়। শীর্ষ আদালতের তরফে প্রশ্ন করা হয়, “আপনি কী ভাবে হাইকোর্টকে এভাবে বাইপাস করতে পারেন? এ ব্যাপারে আমরা হস্তক্ষেপ করার কোনও কারণ দেখছি না। আপনি এভাবে আমাদের কাছে যেতে পারবেন না। আমরা আমাদের সংরক্ষণ প্রকাশ করছি।” শীর্ষ আদালত আরও উল্লেখ করেছে যে, শুভেন্দু অধিকারী এর আগেও সর্বোচ্চ আদালতের কাছে গিয়েছিলেন এবং তাঁকে হাইকোর্টে যেতে বলা হয়েছিল। এপ্রসঙ্গে বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য, “এটা একটা সিস্টেম। আপনি আগেও এখানে এসেছিলেন এবং আপনি এটা প্রত্যাহার করেছিলেন।”
যদিও শুভেন্দু অধিকারীর তরফে প্রবীণ আইনজীবী গোপাল শঙ্করনারায়ণন আদালতে উপস্থিত হয়ে জানান, যে মামলায় সুপ্রিম কোর্ট আগে হাইকোর্টকে শুনানির জন্য নির্দেশ দিয়েছিল সেই মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের সামনে বিচারাধীন ছিল বলে আবেদনটি দায়ের করা হয়েছিল। যদিও একথা শুনতে নারাজ সুপ্রিম কোর্ট। কারণ যা-ই হোক, এই আবেদনটি কলকাতা হাইকোর্টে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেয় বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ। এরপরই শুভেন্দু অধিকারীর তরফে পিটিশনটি প্রত্যাহার করান সিনিয়ার অ্যাডভোকেট সি.এস বৈদ্যনাথন।