Blast: মুহূর্তে ছিটকে যায় সবাই, ধ্বংসস্তূপ সরাতেই বেরোল ৩৫ জনের লাশ
Blast: কোনও রাসায়নিক বিক্রিয়া থেকে ওই বিস্ফোরণ হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সোমবার সকাল ৮টা ১৫ মিনিট ও সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে ওই বিস্ফোরণ ঘটে। ছিটকে যান কর্মীরা। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। সঙ্গে সঙ্গে পৌঁছয় দমকলের একের পর এক ইঞ্জিন।

নয়া দিল্লি: সোমবার রাসায়নিক কারখানায় যে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, তাতে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে ক্রমশ। তেলেঙ্গনার সাঙ্গারেড্ডি জেলায় একটি রাসায়নিক কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে ৮-১০ জন শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। মঙ্গলবার সেই বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৫। উদ্ধারকাজ এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে একের পর এক মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
ডিএসপি পরিতোষ কুমার ওই রাসায়নিক কারখানায় ৩৫ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের তলা থেকে ৩১ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। বাকিদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মৃত্যু হয়েছে। তেলেঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের অন্যান্য মন্ত্রীরা। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সি দামোদর রাজা নরসিংহ জানিয়েছেন, আহতদের চিকিৎসার সবরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কোনও রাসায়নিক বিক্রিয়া থেকে ওই বিস্ফোরণ হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সোমবার সকাল ৮টা ১৫ মিনিট ও সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে ওই বিস্ফোরণ ঘটে। ছিটকে যান কর্মীরা। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। সঙ্গে সঙ্গে পৌঁছয় দমকলের একের পর এক ইঞ্জিন।
২১ জনকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে স্থানীয় একটি হাসপাতালে। অপর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১১ জন। এখনও পর্যন্ত ৯ জনের দেহ শনাক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছেন ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারের বাসিন্দা।
৯০ দিনের জন্য ওই প্লান্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিস্ফোরণের কারণ নিয়ে তদন্ত করতে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি তৈরি করেছে তেলেঙ্গনা সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন ও ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন।
