Ram Navami Clash: রাম নবমীর গোষ্ঠী সংঘর্ষে যাদের নামে মামলা হয়েছে, মার্চ থেকেই তারা জেল বন্দি!

Ram Navami Clash: বারাওয়ানি জেলার সেন্ধওয়া থানার পুলিশ আধিকারিকদের এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তারা জানিয়েছেন, থানাতে জমা পড়া অভিযোগের ভিত্তিতেই তাদের বিরুদ্ধে এই মামলা রুজু করা হয়েছে।

Ram Navami Clash: রাম নবমীর গোষ্ঠী সংঘর্ষে যাদের নামে মামলা হয়েছে, মার্চ থেকেই তারা জেল বন্দি!
ছবি: সংবাদ সংস্থা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 15, 2022 | 4:12 PM

ভোপাল: চলতি মাসের ১০ তারিখ রাম নবমী (Ram Navami) উদযাপনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। যে রাজ্যগুলিতে সংঘর্ষ চরম আকার ধারণ করেছিল, তার মধ্যে বিজেপি শাসিত মধ্য প্রদেশ (Madhya Pradesh) ছিল অন্যতম। রাম নবমীর সংঘর্ষের ঘটনায় সম্প্রতি নয়া কড়া পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছিল মধ্য প্রদেশ সরকার। সংঘর্ষের ঘটনায় যে পরিমাণ সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, দোষীদের থেকেই তার ক্ষতিপূরণ আদায় করা হবে। শুধু তাই নয় মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের (Shivraj Singh Chauhan) নির্দেশে ক্ষতিপূরণ আদায়ে ২ সদস্যের ট্রাইবুনাল গঠন করা হয়েছিল। বিজেপি শাসিত সেই মধ্য প্রদেশেই এবার ঘটল এক অবাক করা ঘটনা। রাম নবমীর সংঘর্ষের ঘটনায় এমন ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে, যারা মার্চ মাস থেকেই জেলবন্দি। মধ্য প্রদেশের বারাওয়ানি জেলায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনায় পুলিশ এদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে। জেলবন্দিদের বিরুদ্ধে এই মামলা রুজু হওয়ায় পুলিশি তদন্ত নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। খুনের চেষ্টার মামলায় মার্চ মাস থেকে জেলবন্দি ওই ৩ জনের বিরুদ্ধে ১০ এপ্রিল মোটরবাইকে আগুনে লাগিয়ে দেওয়া অভিযোগে নতুন করে মামলা রুজু হয়েছে।

বারাওয়ানি জেলার সেন্ধওয়া থানার পুলিশ আধিকারিকদের এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তারা জানিয়েছেন, থানাতে জমা পড়া অভিযোগের ভিত্তিতেই তাদের বিরুদ্ধে এই মামলা রুজু করা হয়েছে। থানার সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক মনোহর সিং জানিয়েছেন, “আমরা এই ঘটনার তদন্ত করব এবং ওই ৩ জন যে জেলে বন্দি, সেই জেল সুপারের থেকেও তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করা হবে। অভিযোগের ভিত্তিতেই তাদের বিরুদ্ধে এই মামলা রুজু করা হয়েছে।” পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ৩ জনের নাম শাহবাজ, ফাকরু ও রাউফ।

অভিযুক্ত ৩ জনের মধ্যে শাহবাজের মা মারাত্মক অভিযোগ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী সংঘর্ষের পরই তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সাকিনা নামের ওই মহিলা বলেন, “সংঘর্ষের ঘটনার পর পুলিশ এখানে এসেছিল। আমরা ছেলে প্রায় দেড় মাস ধরে জেলে বন্দি। পুলিশে কাছে আমরা জানতে চেয়েছিলাম, জেলবন্দি থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হল? পুলিশ আমাদের কোনও প্রশ্নের উত্তর দেয়নি। আমাদের কথা পুলিশ শুনতে চাইছিল না। তারা আমরা ছোট ছেলেকেও ধরে নিয়ে গিয়েছে।”

আরও পড়ুন Narendra Modi: জেলায় জেলায় মেডিক্যাল কলেজ, রেকর্ড সংখ্যায় চিকিৎসক তৈরি করবে কেন্দ্র: মোদী