Cheating Woman: কমবয়সী কনে সাজলেন ৫৪ বছরের কাকিমা! কৌশলে ‘ঘরের বউ’-এর কীর্তি জেনে মা-ছেলের মাথায় হাত

Tirupati Woman: ভণ্ড মহিলার অত্যাচারে নাজেহাল অবস্থা হয়েছিল মা-ছেলের। ছেলের বিয়ে দিয়ে কাকে ঘরে কাকে ডেকে এনেছেন তা হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছিলেন মা।

Cheating Woman: কমবয়সী কনে সাজলেন ৫৪ বছরের কাকিমা! কৌশলে ‘ঘরের বউ’-এর কীর্তি জেনে মা-ছেলের মাথায় হাত
প্রতারক মহিলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 06, 2022 | 9:53 PM

তিরুপতি: বিউটি পার্লারের মেক আপ করে রূপের বদল ঘটনো যায়। কিন্তু কী উদ্দেশ্যে তা করা হচ্ছে। তাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি পঞ্চাশোর্ধ এক মহিলা বয়স ভাড়িয়ে বিয়ে করেছিলেন এক যুবককে। বয়স ৫৪ থেকে নামিয়েছিলেন ৩৫ বছরে। তার পর ‘কমবয়সী কনে’ সেজে করেছিলেন বিয়ে। তার পরই থেকে ভণ্ড মহিলার অত্যাচারে নাজেহাল অবস্থা হয়েছিল মা-ছেলের। ছেলের বিয়ে দিয়ে কাকে ঘরে কাকে ডেকে এনেছেন তা হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছিলেন মা। বিয়ে করা ছেলের অবস্থাও নাজেহাল। শ্বশুরবাড়ির সব সম্পত্তি তাঁর নামে লিখে দিতে হবে। এই তাঁর দাবি। দাবি না মানলেই অত্যাচার, শারীরিক নিগ্রহ চলত মা-ছেলের উপর। নিরুপায় মা-ছেলে সম্পত্তি লিখে দেওয়া ছাড়া কোনও উপায় থাকছিল না। তা করার জন্যই বয়স লুকিয়ে বিয়ে করা মহিলার আধার কার্ড চেয়েছিলেন ছেলে। সেই আধার কার্ডই জানান দিল মহিলার আসল পরিচয়।

তামিলনাড়ুর তিরুভাল্লুর জেলার পুদুপেট্টায় ছেলের সঙ্গে থাকেন ইন্দ্রাণী। ডিভোর্সী ছেলের বিয়ে দেওয়ার জন্য পাত্রী খুঁজছিলেন তিনি। তখন অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতি জেলার পুত্তুর এলাকার এক মহিলার খোঁজ পান। নাম শরণ্যা। ওই মহিলা জানিয়েছিলেন তাঁর বয়স ৩৫ বছর। বয়স ভাড়িয়েই নিজের রূপ দেখিয়েছিলেন তিনি। যা দেখে সন্দেহও হয়নি পাত্র পক্ষের লোকেদের। তার পর অনুষ্ঠান করে বিয়ে হয়ে যায়। তিরুভাল্লুরেই হয়েছিল বিয়ে। বিয়ের পর নতুন বৌ দেখাতে শুরু করে আসল রূপ। মা-ছেলের সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নেওয়ার জন্য কী চেষ্টাটাই না করেছিলেন ৫৪ বছরের ওই প্রতারক মহিলা। শাশুড়িকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া। ইন্দ্রাণী ছেলেকে উঠতে বসতে হেনস্থা করা। বিয়ে করেই সম্পত্তির জন্য এ রকম করছিল নতুন বৌ। উপায় না দেখে সম্পত্তির লিখে দেওয়ার আশ্বাসও দেন অত্যাচারে অতিষ্ঠ মা ছেলে। সে জন্য তাঁর আধার কার্ডও চেয়েছিলেন। সেই আধার কার্ডই সামনে আনল শরণ্যার পরিচয়।

শরণ্যার আধার কার্ডে রবি নামে এক ব্যক্তির নাম দেখে সন্দেহ হয় মা-ছেলের। তাঁরা গোপনে পুলিশের কাছে নিজেদের সমস্যার কথা জানান। এবং আধার কার্ডের প্রতিলিপি পুলিশকে দেন। পুলিশ আধার কার্ডের সূত্র ধরে, সন্ধান চালাতেই সামনে আসে শরণ্যার পরিচয়। পুলিশ জানায়, আধার কার্ডে নাম থাকা রবি হচ্ছে তাঁর প্রথম পক্ষের বর। তাঁদের দু’টি মেয়ে রয়েছে। কিন্তু রবির সঙ্গে মনোমানিল্য হওয়ার পর তাঁকে ছেড়ে মায়ের সঙ্গে এসে থাকছিলেন। মামলা করে রবির থেকে ১০ লক্ষ টাকা আদায়ও করেছিলেন। তার পর আবার বিয়ে করেন সুব্রহ্মণী নামের এক ব্যক্তিকে। সে সময় তিনি নিজের নাম বলেছিলেন সন্ধ্যা। ১১ বছর তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তার পর আবার মায়ের কাছে এসে থাকতে শুরু করেন। ইতিমধ্যে লকডাউনও শুরু হয়। তার পর ইন্দ্রাণীর ছেলেকে বিয়ে করে সম্পত্তি হাতানোর চক্রান্ত করেন। ইন্দ্রাণীকে তিনি বলেছিলেন, তাঁর বয়স ৩৫। সে সময় নিজেকে অবিবাহিতও দাবি করেছিলেন। মেক করে বয়স কমিয়ে বিয়েও ফেলেছিলেন সেরে। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ালো আধার কার্ড।