Kunal Ghosh in Tripura: নেই গাড়ি, পেলেন না ট্যাক্সি, ত্রিপুরার মাটিতে হাঁটাও মানা তৃণমূলের

কুণাল বলেন, "তিনি বলেন, "ত্রিপুরা থেকে বাংলায় বিজেপি নেতারা অবাধে ঘুরে বেড়ান। কিন্তু ত্রিপুরায় আসতে গেলে আমাদের হুমকির মুখে পড়তে হয়। গাড়ি দেওয়া হয় না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলা হয়। সুদীপের মাথা ফেটে গিয়েছিল। এই সব তো দক্ষিণী সিনেমায় হয়।"

Kunal Ghosh in Tripura: নেই গাড়ি, পেলেন না ট্যাক্সি, ত্রিপুরার মাটিতে হাঁটাও মানা তৃণমূলের
ত্রিপুরায় সাংবাদিক বৈঠকImage Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Oct 08, 2025 | 4:28 PM

আগরতলা: আগরতলা পৌঁছে চরম বিপাকে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। তাঁদের কনভয়ের গাড়ি কমিয়ে দেওয়ার অভিযোগ। এমনকী, ত্রিপুরার রাস্তায় হাঁটতেও বাধা দেওয়ার অভিযোগ ত্রিপুরার পুলিশের বিরুদ্ধে। শেষে কোনও ক্রমে আগরতলার সদর দফতরে পৌঁছয় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। আর তারপরই সাংবাদিক বৈঠক করেন তাঁরা।

কুণাল ঘোষ সাংবাদিক বৈঠক থেকে এ দিন পরিষ্কার জানান কেন তাঁরা ত্রিপুরায় এসেছেন। জানান, “মঙ্গলবার আগরতলায় পুলিশের উপস্থিতিতে আমাদের পার্টি অফিস ভাঙচুর হয়েছে। সেই কারণে সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের পাঠিয়েছেন।”

তিনি বলেন, “ত্রিপুরা থেকে বাংলায় বিজেপি নেতারা অবাধে ঘুরে বেড়ান। কিন্তু ত্রিপুরায় আসতে গেলে আমাদের হুমকির মুখে পড়তে হয়। গাড়ি দেওয়া হয় না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে হামলা হয়। সুদীপের মাথা ফেটে গিয়েছিল। এই সব তো দক্ষিণী সিনেমায় হয়। কিন্তু এগুলো ত্রিপুরাতেও হয়। এবার তো গাড়ির চালককে বের করে দিয়েছে। টাকা দিয়ে দিয়েছি, তাও প্রিপেড ট্যাক্সি নিতে দিচ্ছে না। যখন হেঁটে যাচ্ছি, তখন পুলিশ আটকায়। আমরা বলছি, হেঁটেই তো যাব। তাও আটকে দিচ্ছে।

এরপর খগেন মুর্মুর প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। বলেন, “নগরাকাটায় বিজেপি যেটা বলছে তাঁদের সাংসদ-বিধায়কের উপর হামলা হয়েছে। আমরা ওই ঘটনার নিন্দা করেছি। এমনকী মুখ্য়মন্ত্রী নিন্দা করেছেন, উনি দেখতেও গিয়েছেন। এইভাবে নেতার গায়ে হাত দিয়ে ক্ষোভের প্রকাশ হতে পারে না।” পরবর্তীতে কেন্দ্রকে আবারও একহাত নিয়ে কুণাল ঘোষের প্রশ্ন, “কিন্তু এই ক্ষোভটা কেন হচ্ছে? ত্রিপুরার মানুষকে বোঝাচ্ছি, বাংলার মানুষের ক্ষোভ কোথায়। এই বিজেপি নেতারা আবাসের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে, একশো দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। সেটা গর্ব করে বলছে আটকে দিয়েছি। যে গরিব মানুষগুলো এতদিন কাজ করল তাঁরা টাকা পেল না। এরপর বাংলা বললে, বলছে বাংলাদেশে পাঠাব। আর বন্যায় দুর্গতদের দেখতে গেছে, সেখানে ত্রাণ নিয়ে যায়নি। ফটোশুট করতে গিয়েছিলেন। সেই কারণেই মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। তবে এটা আমরা সমর্থন করি না।”