TMC in Agartala: আগরতলায় পা দিতেই বড় সমস্যায় TMC-র প্রতিনিধি দল, ব্যাগ গাড়িতে তুলে রাস্তাতেই বসে পড়লেন কুণালরা
উত্তরবঙ্গে যাওয়ার পথে আক্রান্ত হয়েছিলেন মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। বর্তমানে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি। তাঁর উপর হামলার প্রতিবাদে পথে নামে বিজেপি। প্রতিবাদ চলছিল আগরতলাতেও। অভিযোগ, সেই বিক্ষোভ থেকে তৃণমূলের সদর কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়।

আগরতলা: ত্রিপুরার আগরতলায় পৌঁছতেই পুলিশের সঙ্গে প্রবল বাকবিতণ্ডা তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের। পুলিশের সঙ্গে বচসা ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলের। তৃণমূলের কনভয়ের গাড়ি নিয়ে সমস্যা। অভিযোগ, কনভয়ের গাড়ি সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর আগরতলা বিমানবন্দরেই বসে পড়েন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল।
উত্তরবঙ্গে যাওয়ার পথে আক্রান্ত হয়েছিলেন মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। বর্তমানে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি। তাঁর উপর হামলার প্রতিবাদে পথে নামে বিজেপি। প্রতিবাদ চলছিল আগরতলাতেও। অভিযোগ, সেই বিক্ষোভ থেকে তৃণমূলের সদর কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়। এরপরই আজ তৃণমূলের ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল (প্রতিমা মণ্ডল, সায়নী ঘোষ, কুণাল ঘোষ, বীরবাহা হাঁসদা, সুস্মিতা দেব ও সুদীপ রাহা) এসে পৌঁছন আগরতলায়। কিন্তু আগরতলার মাটিতে পা দিতেই পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় তুমুল বচসা।
তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “আমাদের সঙ্গে চারটে গাড়ি এসেছিল। তার মধ্যে তিনটে গাড়িকে তাড়িয়ে দেওয়া হল। গাড়িগুলোকে হুমকি দেওয়া হল। আমাদের কাছে একন একটি গাড়ি আছে। বাকি গাড়ি হুমকি দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে। সেই একটা গাড়ি যদি দুটো ট্রিপও করে, পুলিশ বলছে একবারেই যেতে হবে। আমরাও ঠিক করেছি ব্যাগ একটা গাড়িতে দিয়ে দেব। তারপর হাঁটতে শুরু করব। গাড়ি এসে গেছে তাদের তাড়িয়ে দিচ্ছে। বলছে যেতে হবে একসঙ্গে।তাই আমরা হাঁটব।”
এরপর এয়ারপোর্টের সামনেই বসে পড়েন কুণাল সহ বাকি তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। তৃণমূল নেতা মাটিতে বসেই বলতে শুরু করেন, এরা যখন বাংলায় যান সকলে মিলে অবাধে মিলে ঘুরে বেড়াতে শুরু করেন। আর আমরা এখানে এলে গাড়ি তাড়িয়ে দেওয়া হয়। প্রিপেড ট্যাক্সিকে বলে দেওয়া হয় না দিতে। পুলিশ অপেক্ষা করতে বলেছে অপেক্ষা করছি। সুদীপ রাহা বলেন, “আমাদের গাড়িগুলিকে ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দিল। এখন পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে বলছে অপেক্ষা করুন।”
ত্রিপুরা বিজেপি মুখপাত্র নব্যেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, “এক গাড়িতে গেলে কী অসুবিধা? ত্রিপুরায় এসে এত বিলাসিতার কী আছে? গরু-কয়লা চুরির টাকা দেখাতে এসেছে নাকি? ত্রিপুরাতে তৃণমূল নেই। এখানে অনুপ্রবেশকারী নেই। আর এখানে ওদের যে অফিস রয়েছে সেখানে কেউ যায় না। ভাড়া করা গার্ড আছে কয়েকটা। তাই এখানে নাটক করার কোনও প্রয়োজন নেই।”
