Mohua Moitra: ‘মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে সই করানো হয়েছে’, ব্যবসায়ীর অভিযোগের পাল্টা জবাব দিলেন মহুয়া
Mohua Moitra-Nishikant Dubey: কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র দাবি করেন যে দর্শন হিরানন্দানির মাথায় নিশ্চয়ই 'বন্দুক' ঠেকানো হয়েছিল এবং ২০ মিনিট সময় দেওয়া হয়েছিল ওই চিঠিতে সই করার জন্য। নিশ্চয়ই ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
নয়া দিল্লি: দামি গিফট, ব্ল্যাকমেইল, তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের (mohua Moitra) বিরুদ্ধে মারাত্মক সব অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ এনেছেন তাঁরই প্রাক্তন ‘বন্ধু’ তথা দুবাইয়ের ব্য়বসায়ী দর্শন হিরানন্দানি। বৃহস্পতিবার এই ব্যবসায়ী সংসদের এথিক্স কমিটির কাছে হলফনামা পাঠান এবং সংবাদমাধ্যমেও প্রকাশ করেন। রাতেই সেই হলফনামার জবাব দিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনি দাবি করলেন, “প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে ওই ব্যবসায়ীকে সাদা কাগজে জোর করে স্বাক্ষর করানো হয়েছে। মিডিয়ায় ওই হলফনামাই লিক করেছে।”
এক্স হ্য়ান্ডেলে তৃণমূল সাংসদ দীর্ঘ বিবৃতিতে দর্শন হিরানন্দানির হলফনামার বিশ্বাসযোগ্য়তা নিয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি লেখেন, “বিনা লেটারহেডে, সাদা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া হয়েছে। কোথা থেকে এই প্রেস বিবৃতি এসেছে, তার অফিসিয়াল কোনও উৎস নেই।”
মহুয়া আরও লেখেন, “কেন একজন সফল ব্যবসায়ী, যার সঙ্গে সমস্ত মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে, তিনি কেন প্রথমবারের বিরোধী সাংসদের কথায় প্রভাবিত হয়ে দামি উপহার দেওয়া এবং তাঁর যাবতীয় দাবি পূরণ করতে রাজি হবেন? এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন দাবি এবং এটা এই সত্যিকেই প্রমাণ করে যে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে তৈরি করা হয়েছিল, ওই ব্যবসায়ী লেখেননি।”
Jai Ma Durga. pic.twitter.com/Z2JsqOARCR
— Mahua Moitra (@MahuaMoitra) October 19, 2023
কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ আরও দাবি করেন যে দর্শন হিরানন্দানির মাথায় নিশ্চয়ই ‘বন্দুক’ ঠেকানো হয়েছিল এবং ২০ মিনিট সময় দেওয়া হয়েছিল ওই চিঠিতে সই করার জন্য। নিশ্চয়ই ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। মহুয়া মৈত্র অভিযোগ করেন, “বিজেপি সরকার মরিয়াভাবে অপেক্ষা করছিল আদানি ইস্যুতে আমার মুখ বন্ধ করার জন্য। স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে যে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের কোনও এক কর্মীই বিজেপির আইটি সেলের ক্রিয়েটিভ রাইটার হিসাবে কাজ করেছেন।”
ওই নথিটি আদৌ হলফনামা কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলে মহুয়া মৈত্র লেখেন, যদি দর্শন হিরানন্দানি সত্যিই এইসব অভিযোগ জানাতে চাইতেন এবং স্বীকোরক্তি দিতে চাইতেন, তবে তিনি সরাসরি সাংবাদিক বৈঠকই করতেন। হিরানন্দানিকে সিবিআই সমন পাঠায়নি বা এথিক্স কমিটি বা অন্য কোনও কমিটি ডাকেনি, তাহলে উনি কার কাছে হলফনামা পাঠালেন?