Tripura HIV: সিরিঞ্জ ঢুকিয়ে মৃত ৪৭ ছাত্র-ছাত্রী, ত্রিপুরায় কি সত্যিই ছড়িয়েছে HIV মহামারি?

Tripura HIV: ত্রিপুরায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে কি ছড়িয়ে পড়ল এইচআইভি মহামারি? মঙ্গলবার এক উদ্বেগজনক খবর প্রকাশ করেছিল সংবাদ সংস্থা এএনআই। ত্রিপুরা স্টেট এইডস কন্ট্রোল সোসাইটির কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে এএনআই বলেছিল, ৮২৮ জন শিক্ষার্থী সংক্রমিত এবং ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এইচআইভি-তে। হইচই শুরু হতেই, বুধবার (১০ জুলাই) এই বিষয়ে স্পষ্টতা জারি করল ত্রিপুরা সরকার।

Tripura HIV: সিরিঞ্জ ঢুকিয়ে মৃত ৪৭ ছাত্র-ছাত্রী, ত্রিপুরায় কি সত্যিই ছড়িয়েছে HIV মহামারি?
প্রতীকী ছবিImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Updated on: Jul 10, 2024 | 4:00 PM

আগরতলা: ত্রিপুরায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে কি ছড়িয়ে পড়ল এইচআইভি মহামারি? মঙ্গলবার এক উদ্বেগজনক খবর প্রকাশ করেছিল সংবাদ সংস্থা এএনআই। ত্রিপুরা স্টেট এইডস কন্ট্রোল সোসাইটির কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে এএনআই বলেছিল, ৮২৮ জন শিক্ষার্থী সংক্রমিত এবং ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে এইচআইভি-তে। ত্রিপুরার ২২০টি স্কুল এবং ২৪টি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে সংকট ছড়িয়ে পড়েছে বলে দাবি করা হয়েছিল। ইনজেকশনের মাধ্যমে মাদক সেবন করার ফলেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে এইচআইভি ছড়িয়েছে বলে জানানো হয়েছিল। হইচই শুরু হতেই, বুধবার (১০ জুলাই) এই বিষয়ে স্পষ্টতা জারি করল ত্রিপুরা সরকার। তারা জানিয়েছে, এই খবর বিভ্রান্তিকর।

ত্রিপুরা সরকার বলেছে, রাজ্যে এইচআইভি সংক্রমণ মহামারির আকার ধারণ করেনি। এই পরিসংখ্যানগুলি আসলে গত ১৭ বছরের সম্মিলিত হিসেব। ১৯৯৯ সালের এপ্রিলে যাত্রা শুরু করেছিল ত্রিপুরা স্টেট এইডস কন্ট্রোল সোসাইটি বা টিএসএসিএস। ২০০৭-এর এপ্রিল থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণের পরিসংখ্যান রাখা হয়। সেই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সেই সময় থেকে ২০২৪-এর মে মাস পর্যন্ত, রাজ্যে ৮২৮ জন শিক্ষার্থী এইচআইভি পজিটিভ বলে সনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৫৭২ জন শিক্ষার্থী এখনও বেঁচে আছে এবং ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। সরকার আরও দাবি করেছে, অনেক শিক্ষার্থীই উচ্চশিক্ষার জন্য ত্রিপুরার বাইরে দেশের অন্যান্য জায়গার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাড়ি দিয়েছে।

সম্প্রতি, ত্রিপুরা জার্নালিস্ট ইউনিয়ন, ওয়েব মিডিয়া ফোরাম এবং টিএসএসিএস-এর যৌথ উদ্যোগে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে টিএসএসিএস-এর জয়েন্ট ডিরেক্টর, পরিস্থিতির গুরুত্ব বোঝাতে ওই পরিসংখ্যান দিয়েছিলেন। তাঁরা জানিয়েছিলেন,রাজ্যের মোট ১৬৪টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও হাসপাতাল থেকে তাঁরা তথ্য সংগ্রহ করেছেন। সমস্ত ব্লক এবং মহকুমা থেকে রিপোর্ট সংগ্রহ করা হয়েছে। এইচআইভি আক্রান্ত অধিকাংশ শিক্ষার্থীই ধনী পরিবারের বলে জানয়েছিলেন তাঁরা। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, বাবা-মা দুজনেই সরকারি চাকরি করেন। দুর্ভাগ্যবশত, তাঁদের সন্তানরা মাদকাসক্ত বলে যতক্ষণে বুঝতে পারেন বাবা-মায়েরা, ততদিনে অনেক দেরি হয়ে যায়।

টিএসএসিএস-এর কর্তারা আরও জানিয়েছিলেন, ২০২৪০এর মে মাস পর্যন্ত, ত্রিপুরার অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি কেন্দ্রগুলি ৮,৭২৯ জন এইচআইভি আক্রান্তকে নিবন্ধিত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে, জীবিত আছেন ৫,৬৭৪ জন। এর মধ্যে ৪,৫৭০ জন পুরুষ, ১,১০৩ জন মহিলা এবং একজন ট্রান্সজেন্ডার আছেন।