আবার তৃণমূলের পাশে! চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ বামেদের

ত্রিপুরায় একাধিকবার তৃণমূলের পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে সিপিএমকে। এ বারও তার ব্যতিক্রম নয়।

আবার তৃণমূলের পাশে! চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ বামেদের
ছবি-PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 23, 2021 | 8:36 PM

আগরতলা: ত্রিপুরায় বারবার তৃণমূলের পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে সিপিএমকে। সাম্প্রতিক অতীতে এমন ঘটনা ঘটেছে একাধিকবার। এবার ত্রিপুরায় এক চিকিৎসকের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় তৃণমূলের পাশে দাঁড়াল সিপিএম। তৃণমূল ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ওই চিকিৎসকের ওপর আক্রমণের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। আর সেই ঘটনায় কড়া নিন্দা জানিয়েছে সিপিএমের ত্রিপুরার রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী।

গতকালই রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে যে, ‘ড. বিকাশ রায়ের মোহনপুরের পৈত্রিক বাড়িতে রাজ্যের শাসকদল বিজেপির দুর্বৃত্ত বাহিনী যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা করছে ত্রিপুরা রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী। হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিও জানানো হয়েছে।

ত্রিপুরায় তৃণমূলপন্থী ওই চিকিৎসকের বাড়িতে বিজেপির মন্ত্রীর নেতৃত্বে হামলা হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিক জানিয়েছেন, যুব তৃণমূলের নেত্রী সায়নী ঘোষ ত্রিপুরায় যাওয়ার পরই ওই চিকিৎসকের ভাইয়ের ছেলে দেখা করেছিলেন। আর তারপরই বিকাশ রায়ের পৈতৃক বাড়িতে হামলা চালায় বিজেপি। বিজেপির অন্তত ২০ থেকে ২৫ জন মোহনপুরের ওই বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। বাড়িটিতে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। চিকিৎসকের ছোট ভাই এবং তাঁর স্ত্রীকে হেনস্থা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। বিকাশ রায়ের ভাইয়ের ওষুধের দোকান বন্ধ করে চাবি নিয়ে নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ জানানো হয়েছে পরিবারের তরফে। চাবি নিতে হলে ত্রিপুরার মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা রতনলাল নাথের কাছে যাওয়ার কথা বলা হয়।

এই ঘটনার আগেই তৃণমূলের ভূয়ষী প্রশংসা শোনা যায় বাম নেতা তথা ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের মুখে। সম্প্রতি অসমের বিজেপি নেতা অরুণ ভৌমিক নিদান দিয়েছিলেন, তৃণমূল নেতারা আগরতলা বিমানবন্দরে নামলেই যেন তাঁদের ওপর তালিবানি কায়দায় হামলা চালান বিজেপি সমর্থকরা। অন্যদিকে অপর এক বিজেপি বিধায়ক তথা ত্রিপুরা বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার বিশ্ববন্ধু সেন রাজ্যে সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে হাড়গোড় ভেঙে দেওয়ার কথা বলে বিতর্কের মুখে পড়েন। আর সেই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে তৃণমূলের পাশে দাঁড়ান মানিক সরকার। তাঁর কথায়, ‘হাতমুখ ভেঙে দেবেন এই মন্তব্য, হুমকির মধ্যেও যাঁরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছেন তাঁদের আমি কুর্নিশ জানাই। সাহস আছে। মাথানত করছেন না। আর যিনি এই হুমকি দিচ্ছেন সেটা তাঁর দুর্বলতা। ভয় পেয়ে যাচ্ছেন। জনবিচ্ছিন্নতার ভুগছেন বলে এমন মন্তব্য করছেন।’

এটাই অবশ্য প্রথম নয়। সাম্প্রতিক সময় তৃণমূলের মন্ত্রী-সাংসদদের উপর হামলার যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে তিনি ‘লজ্জিত’ বলে কিছুদিন আগেই উল্লেখ করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূলের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে মানিক সরকার বলেছিলেন, ‘শাসকরা গণতন্ত্রের কথা বলছে। মুখে গণতন্ত্রের মুখোশ, আর মনের দিক থেকে ফ্যাসিস্ট। একের পর এক প্রতিষ্ঠানের উপর আক্রমণ চালিয়ে স্বৈরাতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা কায়েম করার চেষ্টা চলছে। এই কাজগুলির মধ্যে দিয়ে গোটা ভারতে ত্রিপুরা সম্পর্কে একটা ভুল বার্তা যাচ্ছে। বিজেপি এই কাণ্ড-কারখানা করে ত্রিপুরার মানুষকে অসম্মানিত করছে।’ বারবার এ ভাবে তৃণমূলের প্রশংসায় জল্পনা বাড়িয়েছেন তিনি। আরো পড়ুন: সেপ্টেম্বরে দৈনিক আক্রান্ত ছুঁতে পারে ৪ থেকে ৫ লক্ষ! ভয়াবহ আশঙ্কা নীতি আয়োগের