Clash in Tripura: আগরতলায় মহিলা থানায় ধুন্ধুমার, সায়নী ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় লাঠি হাতে তাণ্ডব দুষ্কৃতীদের

Tripura, থানায় সায়নী ঘোষের জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন লাঠি নিয়ে একদল দুষ্কৃতি সেখানে জড় হন। সেইসব দুষ্কৃতিরা বিজেপি আশ্রিত বলেই দাবি তৃণমূলের। থানার বাইরে থাকা ত্রিপুরা তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিকের গাড়িতে চলে নির্বিচারে ভাঙচুর।

Clash in Tripura: আগরতলায় মহিলা থানায় ধুন্ধুমার, সায়নী ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় লাঠি হাতে তাণ্ডব দুষ্কৃতীদের
ছবি: নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 21, 2021 | 3:29 PM

আগরতলা: যত কাণ্ড ত্রিপুরাতে। রবিবার সকাল থেকেই পশ্চিমবঙ্গ যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষকে থানায় তলব ঘিরে উত্তাপের সূত্রপাত। পুলিশের সঙ্গে একপ্রস্ত বাগবিতণ্ডার পর সায়নীকে নিয়ে থানায় যেতে রাজি হন তৃণমূল নেতৃত্ব। আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে পূর্ব আগরতলা থানায় পৌঁছন সায়নী ঘোষ, কুণাল ঘোষ, সুস্মিতা দেব সহ তৃণমূল নেতৃত্ব।

থানায় সায়নী ঘোষের জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন লাঠি নিয়ে একদল দুষ্কৃতী সেখানে জড়ো হন। সেইসব দুষ্কৃতীরা বিজেপি আশ্রিত বলেই দাবি তৃণমূলের। থানার বাইরে থাকা ত্রিপুরা তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিকের গাড়িতে চলে নির্বিচারে ভাঙচুর। ভাঙচুরের সঙ্গে সেখানে উপস্থিত তৃণমূল কর্মীদরে লক্ষ্য করে পাল্লা দিয়ে চলতে থাকে ইটবৃষ্টি। পরিস্থিতি ক্রমেই হাতের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে দেখে ঘটনস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। শুধুমাত্র রাজ্য পুলিশ নয়, পৌঁছয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও।  লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে পুলিশ।

ইট ও লাঠির ঘায়ে বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী আহত হয়েছেন বলে খবর। থানায় এই আক্রমণের পর তীব্র প্রতিক্রিয়া এসেছে তৃণমূলের তরফে। তৃণমূলের অভিযোগ, এই হামলা পূর্বপরিকল্পিত। খুন করার উদ্দেশ্যেই নেতৃত্বকে থানায় ডেকে এনেছে পুলিশ। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “এখানে গণতন্ত্র ভূলুন্ঠিত। জঙ্গলরাজ চলছে।” এই প্রসঙ্গে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ত্রিপুরা বিজেপি মুখপাত্র নব্যেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, “থানায় হামলার অভিযোগ অসত্য। থানার সামনে আমাদের কার্যকর্তারা আছেন, তাঁরা সেখানে থাকবেনও। কাল যে ঘটনা ঘটেছে এটা হতেই হবে। বাংলার মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম কাল এসে উস্কানি দিয়েছেন। সায়নীর গাড়ি কাল একজনকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়েছে, তাই সায়নীকে ডাকা হয়েছে। বিক্ষোভ দেখাতেই সেখানে বিজেপি কর্মীরা জড়ো হয়েছিলেন। বিক্ষোভ দেখানো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অঙ্গ। তৃণমূল পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।”

সূত্রের খবর, থানার বাইরে বিশাল সংখ্যায় বিজেপি কর্মীরা জমায়েত করেছেন। তৃণমূলের অভিযোগ, থানা কার্যত বিজেপির দুষ্কৃতীরা ঘিরে নিয়েছে। টিভি৯ বাংলাকে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “দিনের পর দিন ত্রিপুরাতে আমাদের দলের নেতা মন্ত্রীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। ত্রিপুরা গুন্ডা মুখ্যমন্ত্রীর প্ররোচনাতেই এই হামলা। অভিষেকের সফরের আগেই ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। ত্রিপুরাতে বিজেপিতে যে অসভ্যতা করছে, আগামী দিনে পুরো দেশ জুড়ে এর ফল পেতে হবে। সামনের বছর ত্রিপুরাতে আমরাই ক্ষমতায় আসব।” বাংলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে যে হামলার অভিযোগে বিজেপি সরব হয়, ত্রিপুরাতেও বিজেপির বিরুদ্ধে সেই একই অভিযোগ তুুলছে তৃণমূল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের আগেই এই রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ত্রিপুরার রাজনৈতিক পারদ আরও চড়াল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন পুরভোটের আগেই সরগরম ত্রিপুরা! সকালেই তৃণমূল নেতানেত্রীদের হোটেলে পুলিশ, সায়নী ঘোষকে থানায় তলব