AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

আগরতলায় নেমে প্রাক্তন সিপিএম সাংসদের বাড়িতে কুণাল, বললেন ‘সৌজন্য’

এ দিন আগরতলায় নেমে কুণাল ঘোষ জানান, তাঁর সঙ্গে ত্রিপুরার সম্পর্ক অনেক পুরনো। মানিক সরকারকে শ্রদ্ধা করেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

আগরতলায় নেমে প্রাক্তন সিপিএম সাংসদের বাড়িতে কুণাল, বললেন 'সৌজন্য'
অজয় বিশ্বাসের বাড়িতে কুণাল ঘোষ
| Edited By: | Updated on: Aug 04, 2021 | 3:50 PM
Share

আগরতলা: রাজ্যের বাইরে ঘাসফুলের বিস্তারে ত্রিপুরাই এখন তৃণমূলের পাখির চোখ। আগরতলায় যাতায়াত বাড়ছে ঘাসফুল শিবিরের নেতা-নেত্রীদের। সোমবারই ত্রিপুরায় গিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। সেই ঘটনার দু’দিন পরই ত্রিপুরায় গেলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। আর আগরতলায় নেমে তিনি পৌঁছে গেলেন সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ তথা বর্ষীয়ান নেতা অজয় বিশ্বাসের বাড়িতে। আগরতলায় ব্যানার্জীপাড়ায় অজয়বাবুর বাড়িতেই বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা হয় দুই নেতাদের। যদিও কুণাল ঘোষ এই সাক্ষাৎকে ‘সৌজন্য’ বলেই ব্যাখ্যা করেছেন।

জানা গিয়েছে, প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ এবং সরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের নেতা অজয় বিশ্বাস বাম ও কংগ্রেস মহলে বিশেষ সম্মানীয় ব্যক্তিত্ব। বর্তমানে তিনি পিডিএসের রাজ্য সম্পাদক। তৃণমূল যখন ত্রিপুরায় তাদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব বিস্তার করছে, তখন এই বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বৈঠকের পর অজয় বিশ্বাস বলেন, ‘সরকারের কথা বলতে পারব না, তবে ত্রিপুরায় সিপিএমের জায়গাটা তৃণমূলের নিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা বেশি।’ অন্যদিকে, কুণালের দাবি, প্রাক্তন সাংসদ বা বিধায়কই শুধু নয়, অজয় বাবু ত্রিপুরার একজন বরেণ্য ব্যক্তি। তাই ত্রিপুরাটাকে হাতের তালুত মতো চেনে অজয় বাবু। কুণালের দাবি, ত্রিপুরায় কাজ করতে গেলে এই ধরনের মানুষের আশীর্বাদ নেওয়া জরুরি।

অন্যদিকে, এ দিন আগরতলায় নেমে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘ত্রিপুরা আমার কাছে নতুন নয়। এই রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নৃপেন চক্রবর্তী আমার বাবার কাছে চিকিৎসা করাতেন। পিজিতে চিকিৎসা করাতেন তিনি।’ তাই পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে বলে দাবি করেন কুণাল। সিপিএমের সঙ্গে মতপার্থক্যের কথা স্বীকার করে নিয়েই কুণাল ঘোষ বলেন, ‘আমি মানিক সরকারকে শ্রদ্ধা করি।’ কয়েকদিন আগেই ত্রিপুরায় গিয়ে আটক হন প্রশান্ত কিশোরের টিমের ২৩ জন সদস্য। তৃণমূলের পাশাপাশি সেই ঘটনার সমালোচনা করেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারও।

কুণালের মতে, এই মুহূর্তে ত্রিপুরায় তৃণমূলই হতে পারে একমাত্র বিকল্প। তিনি মনে করেন, ত্রিপুরায় যে প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে, বা ত্রিপুরার মানুষ যতটা পরিশ্রমী, তাতে এই রাজ্যের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। কুণালের কথায়, ‘বিজেপি সেই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারছেন না।’ পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নের মডেলেই তৃণমূল উন্নততর ত্রিপুরা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে বলে জানান তিনি।

এ দিকে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযোগ জানাতে তৃণমূল পুলিশের দ্বারস্থ তৃণমূল। আজই ত্রিপুরায় পুলিশ হেডকোয়ার্টারে অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। সোমবার অভিষেক ত্রিপুরায় গেলে তাঁর কনভয় ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। আরও পড়ুন: ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ, রাজ্যসভায় সাসপেন্ড তৃণমূলের ৬ সাংসদ