Local Body Poll in Tripura: এক সময়ের লালদুর্গ! আগরতলার পুর ভোটে একাধিক আসনে প্রার্থীই নেই বামেদের
Agartala: যদিও সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, গেরুয়া সন্ত্রাসের কারণেই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে তারা।
ত্রিপুরা: আগরতলা (Agartala Corporation Election) পুর নিগমের সব আসনে প্রার্থী দিতে পারল না বামেরা। মোট ৫টি আসন থেকে সরে দাঁড়িয়েছে তারা। এর মধ্যে সিপিএম সরে দাঁড়িয়েছে ৪টি আসন থেকে। সাংগঠনিক দুর্বলতায় প্রার্থী পদ থেকে সরে যাওয়ার কারণ বলে সূত্রের খবর।
যদিও সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, গেরুয়া সন্ত্রাসের কারণেই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে তারা। ৪৩, ১৮, ১৪ এবং ১৫ ওয়ার্ডে প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করেছেন সিপিএম প্রার্থীরা। ফরওয়ার্ড ব্লক ২০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করেছে। ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সরে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস। বাম ও কংগ্রেসের পথে অবশ্য হাঁটেনি পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল। একটিও আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেনি তৃণমূল। আগরতলার পুর নিগমের নির্বাচনে একজন নির্দল প্রার্থীও মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেছেন।
২০২৩ সালে ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই ‘বড় পরীক্ষায়’ নামার আগে আগরতলার পুরনিগমের নির্বাচনে জল মেপে নিতে চাইছে তৃণমূল শিবির। মমতার কাছে এই পুরভোট অনেকটা লিটমাস টেস্টের মতো। তৃণমূল সূত্রে খবর, আগরতলার পুরনির্বাচনে ময়দানে নামার প্রস্তুতি অনেকদিন আগে থেকেই চলছিল দলের অন্দরে। তবে বিজ্ঞপ্তি জারি হতেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে তারা।
আগরতলা পুরভোটে তৃণমূলের ৫০ শতাংশ প্রার্থীই মহিলা। আগরতলায় মোট ৫১ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৫ জনই মহিলা প্রার্থী। জয় নিয়েও বেশ আত্মবিশ্বাসী ঘাসফুল। সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরায় সভা করে এসেছেন। সেখানে অভিষেকের কটাক্ষ ছিল, “করোনার থেকেও বিপজ্জনক বিজেপি। তাই বিজেপি-র টিকা একটাই, সেটা হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডবল ডোজ় দিতে হবে। পুর ভোটে প্রথম ডোজ়, তার পর ১৩ মাস পরে বিধানসভা ভোটের সময় দ্বিতীয় ডোজ়।”
আগামী ২৫ নভেম্বর আগরতলা পুরনিগমের ভোট হবে। পুরনিগমের ১৩টি পুর পরিষদ এবং ৬টি নগর পঞ্চায়েতের নির্বাচন হবে। তার জন্য ৩ নভেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। আগরতলা পুরনিগম, ১৩টি পুর পরিষদ ও ৬টি নগর পঞ্চায়েত নিয়ে মোট আসন রয়েছে ৩৩৪টি।
৩৩৪টি আসনের জন্য মোট ৮২৯ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। বিজেপি থেকে ৩৩৬, তৃণমূলের ১২৫, সিপিএম ২১৪, সিপিআই ৬, আরএসপি ২, ফরওয়ার্ড ব্লক ৫, কংগ্রেস ১০১, নির্দল ৩২ এবং অন্যান্য ৮ প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন।
তবে শান্তিরবাজার, উদয়পুর, বিশালগড়, মোহনপুর ও রানিরবাজার পুর পরিষদে একটিতেও প্রার্থী দিতে পারেনি বামেরা। একইসঙ্গে জিরানিয়া ও কমলপুর নগর পঞ্চায়েতেও প্রাথী দিতে পারেনি না তারা। জিরানিয়া নগর পঞ্চায়েতে ১১টি আসনের মধ্যে মাত্র ১ টি অন্যরা প্রার্থী দিয়েছে। আর শান্তিরবাজার পুর পরিষদে ১৫টির মধ্যে ৬টিতে নির্দল প্রাথী দিয়েছে। বাকিগুলিতে একটিতেও বিরোধীরা মনোননয়ন দিতে পারেনি। তাদের অবশ্য অভিযোগ, এর কারণ বিজেপি। যদিও তা মানতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের বক্তব্য, বিরোধীরা জনবিচ্ছিন্ন। তাই প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না তারা।
আরও পড়ুন: সুখবর! কোভ্যাকসিন নিয়েও এবার বিনা বাধায় ইংল্যান্ড সফরে অনুমতি