AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বিজেপি-তে অন্তর্দ্বন্দ্ব, মুখ্যমন্ত্রী পদে বহাল থাকা নিয়ে গণরায়ের প্রস্তাব বিপ্লব দেবের

গত রবিবার বিজেপি (BJP)-র নতুন পর্যবেক্ষক বিনোদ সোনকার (Vinod Sonkar) রাজ্য নেতৃত্বদের সঙ্গে আলোচনায় বসলে ত্রিপুরা গেস্ট হাউসের বাইরে কয়েকশো দলীয় কর্মী স্লোগান দেয়, "বিপ্লব হটাও, বিজেপি বাঁচাও"।

বিজেপি-তে অন্তর্দ্বন্দ্ব, মুখ্যমন্ত্রী পদে বহাল থাকা নিয়ে গণরায়ের প্রস্তাব বিপ্লব দেবের
ফাইল চিত্র।
| Edited By: | Updated on: Dec 09, 2020 | 1:02 PM
Share

আগরতলা:  ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী পদে বহাল থাকবেন কিনা, সেই সিদ্ধান্ত রাজ্যবাসীর উপরই ছেড়ে দিলেন বিজেপি নেতা বিপ্লব দেব (Biplab Deb)। গত রবিবার একটি দলীয় বৈঠকে তাঁর বিরুদ্ধে স্লোগান ওঠে, “বিপ্লব হটাও, বিজেপি বাঁচাও”। এরপরই তড়িঘড়ি মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক (Press Conference) ডেকে বিল্পব দেব জানান, মুখ্যমন্ত্রী পদে থেকে যাবেন কিনা তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মতামত নিতে চান।

সংবাদিক বৈঠকে দুঃখপ্রকাশ করে তিনি বলেন, “ওই স্লোগানে আমি খুবই ব্যথিত। আমি রাজ্যের উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এটাই হয়তো আমার একমাত্র ভুল। আমি কোনও সরকারি অফিসার নই, যার চাকরির মেয়াদকাল ৩০ বছর। নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ যেমন পাঁচ বছর হয়, আমার মেয়াদও পাঁচ বছরেই সীমিত।”

মুখ্যমন্ত্রী পদে তিনি আর বহাল থাকবেন কিনা, সেই সিদ্ধান্ত রাজ্যবাসীর উপর ছেড়ে দিয়ে বিপ্লব দেব জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, “আমি পদে থাকব না ছেড়ে দেব, সেই সিদ্ধান্ত আপনাদের উপর। আপনারা নিজেদের মতামত জানান। আমি রবিবার দুপুর দুটোয় বিবেকানন্দ ময়দানে অপেক্ষা করব। আপনাদের মতামতই উর্দ্ধতন নেতৃত্বকে জানিয়ে দেওয়া হবে।”

আরও পড়ুন: আজ কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠক নয়, শাহ-সাক্ষাতের পরই জানালেন কৃষক নেতা

গত রবিবার বিজেপি (BJP)-র নতুন পর্যবেক্ষক বিনোদ সোনকার (Vinod Sonkar) রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। সেই সময়ই ত্রিপুরা গেস্ট হাউসের বাইরে কয়েকশো লোক জমা হয়ে বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিস মাঠে নামলেও দলের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে ক্ষোভের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়।

বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে দলীয় কর্মীদের ক্ষোভের কারণ হিসাবে মূলত বিজেপি-আইপিএফটি জোটের অব্যবস্থাকেই দায়ী করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দলের সঙ্গে আরেক হেভিওয়েট নেতা সুদীপ দেব বর্মনের দূরত্বের বিষয়টিও উঠে এসেছে। সূত্র অনুযায়ী, গত সপ্তাহেই মন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে দেখা করতে সুদীপ দেব বর্মন ও কয়েকজন বিধায়ক অসম গিয়েছিলেন। গত অক্টোবরেও তাঁরা দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে নিজেদের অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন।

এমতাবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলতে দিল্লি যাবেন কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। আপাতত নিজের ভাগ্য নির্ধারণের ভার তিনি জনতার উপরই ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু, ময়দানে সভা ডেকে গণমত নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকা বা না থাকার সিদ্ধান্ত কি আদৌ নেওয়া যায়, উঠছে প্রশ্ন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছে, বিপ্লবের এহেন পদক্ষেপ আপতে তাঁর কৌশল। ময়দানে সভা ডেকে বিপ্লব দলে তাঁর গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ দিতে চেয়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ফের উত্তপ্ত পুলওয়ামা, সকাল সকাল এনকাউন্টারে খতম দুই জঙ্গি