Mob Lynching Case: পুলিশের আবেদনেই মান্যতা, গণপিটুনিতে ৩ যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় অগ্রিম জামিন খারিজ আদালতের

Tripura Mob Lynching Case: গত ২০ জুন খোয়াইয়ের মুঙ্গিয়াকামি পুলিশ স্টেশনে তিন যুবককে গণপিটুনির খবর আসে। জানা যায়, সইফুল রহমান (১৮), জায়েদ হুসেন (২৮) ও বিলাল মিঞা (৩০) নামক তিন যুবকে গরুচোর সন্দেহে নামাঞ্জয়পাড়া গ্রামের বাসিন্দারা ব্য়পক মারধর করে।

Mob Lynching Case: পুলিশের আবেদনেই মান্যতা, গণপিটুনিতে ৩ যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় অগ্রিম জামিন খারিজ আদালতের
যুবককে গণপিটুনি (প্রতীকী চিত্র।)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 14, 2021 | 3:05 PM

আগরতলা: গরুচোর (Cattle Smuggler) সন্দেহে গণপিটুনি(Mob Lynching)-তে মৃত্যু হয়েছিল তিন যুবকের। সেই ঘটনায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকেই অগ্রিম জামিন দিতে অস্বীকার করল আদালত। কেবল সন্দেহের বশে তিন যুবককে পিটিয়ে মারার ঘটনায় রিপন দেববর্মা নামক এক ব্যক্তি গ্রেফতারির আগেই ত্রিপুরা হাইকোর্টে (Tripura High Court) জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন। গত সপ্তাহে সেই আবেদনই খারিজ করে দেয় আদালত।

বিচারপতি এসজি চট্টোপাধ্যায়ের বেঞ্চের তরফে অগ্রিম জামিনের আবেদন খারিজ করে বলা হয়, সইফুল রহমান (১৮) সহ তিন যুবককে গরুচোর সন্দেহে নৃশংসভাবে মারধর করা হয়েছিল, অথচ তাদের কাছ থেকে কোনও গরুই উদ্ধার হয়নি। কেবল সন্দেহের বশে এইধরনের প্রতিহিংসামূলক আচরণ কখনওই গ্রহণযোগ্য নয়।

পুলিশে দায়ের হওয়া এফআইআরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০ জুন খোয়াইয়ের মুঙ্গিয়াকামি পুলিশ স্টেশনে তিন যুবককে গণপিটুনির খবর আসে। জানা যায়, সইফুল রহমান (১৮), জায়েদ হুসেন (২৮) ও বিলাল মিঞা (৩০) নামক তিন যুবকে গরুচোর সন্দেহে নামাঞ্জয়পাড়া গ্রামের বাসিন্দারা ব্য়পক মারধর করে। গ্রামবাসীদের দাবি ছিল, গ্রামেরই একটি বাড়ি থেকে তাদের গরু বের করে নিয়ে পালাতে দেখায় আটক করা হয়েছিল. বিলাল ও জায়েদ ধরা পড়ে গেলেও সইফুল ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

পরে জানা যায়, শোভারাম চৌপারা থেকে তাঁকে কয়েকজন ধরে ফেলে এবং গণপিটুনি দেয়। অন্যদিকে ধৃত অপর দুই যুবককেও ব্য়পক মারধর করা হয়। পরে তিনজনকে আগরতলার গোবিন্দ বল্লভ পন্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তিনজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করে।

ওই ঘটনার পরই পুলিশ ধরপাকড় শুরু করে এবং পরে গণপিটুনি ও খুনের মামলা দায়ের করে। চম্পাপাওহার ও কায়ানপুরেও পরে গরু পাচার ও গণপিটুনির মামলা দায়ের হয়। ৩ জুলাই পুলিশ তেলিয়ামুড়ার উত্তর মহারানিপুর থেকে রিপন দেববর্মা নামক এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে।

এদিকে, ত্রিপুরা পিপলস পার্টির সদস্যরা দাবি করেন, তিনযুবককে নয়, মোট চারজনকে মারধর করেছিল গ্রামবাসীরা। প্রায় এক সপ্তাহ নিখোঁজ থাকার পর তেলিয়ামুড়ার জঙ্গল থেকে ওই নিখোঁজ যুবকের অর্ধেক পচাগলা দেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের সন্দেহ ওই যুবককেও কেউ মারধর করে জঙ্গলে ফেলে দিয়ে গিয়েছিল।

একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানের উপর ভিত্তি করেই পুলিশ জানায়, সইফুলকে গরুচোর সন্দেহে ধাওয়া করা ও মারধরের ঘটনায়  অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন রিপন দেববর্মা। যদিও অভিযুক্তের পক্ষ থেকে হাজির আইনজীবী জানান, এফআইআরে প্রথমে রিপমের নাম উল্লেখ ছিল না। তবে আদালতের তরফে জানানো হয়, প্রত্য়ক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী আবেদনকারী ওই দলের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, যারা সইফুলকে মারধর করে হত্যা করে। অপরাধের গুরুত্ব যাচাই করেই তাঁর জামিবনের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়।