Shiv Sena: শিবসেনা আর ঠাকরেদের নয়, বাবার দেওয়া দল-প্রতীক সবই হারালেন উদ্ধব
Election Commission on Shiv Sena: উদ্ধব ঠাকরে শিবিরে বড় ধাক্কা! বাবা বালাসাহেব ঠাকরের প্রতিষ্ঠা করা দল এবং দলীয় প্রতীক - সবই হারালেন উদ্ধব ঠাকরে। দলের নাম হিসেবে 'শিবসেনা' এবং প্রতীক হিসেবে 'ধনুক এবং তীর' ব্যবহারের অধিকার একনাথ শিন্ডে শিবিরকেই দিল ভারতের নির্বাচন কমিশন।
মুম্বই: উদ্ধব ঠাকরে শিবিরে বড় ধাক্কা! বাবা বালাসাহেব ঠাকরের প্রতিষ্ঠা করা দল এবং দলীয় প্রতীক – সবই হারালেন উদ্ধব ঠাকরে। শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ভারতের নির্বাচন কমিশন দলের নাম হিসেবে ‘শিবসেনা’ এবং দলীয় প্রতীক হিসেবে ‘ধনুক এবং তীর’ ব্যবহারের অধিকার একনাথ শিন্ডে শিবিরের হাতে তুলে দিল। নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষণ, শিবসেনার বর্তমান সংবিধান অগণতান্ত্রিক। কোনও নির্বাচন ছাড়াই অগণতান্ত্রিকভাবে পদাধিকার বলে এক নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর ব্যক্তিদের নিয়োগ করা হয়েছে। এই ধরনের দলীয় কাঠামোর প্রতি তাদের কোনও আস্থা নেই বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
কমিশনের পর্যবেক্ষণ, ২০১৮ সালে শিবসেনার তাদের দলীয় সংবিধান সংশোধন করেছিল। কিন্তু সেই সংবিধান ভারতের নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হয়নি। কমিশনের চাপে ১৯৯৯ সালে প্রয়াত বালাসাহেব ঠাকরে দলীয় সংবিধানে কিছু গণতান্ত্রিক রীতিনীতি যোগ করেছিলেন। নয়া সংশোধনীগুলির মাধ্যমে সেই সকল গণতান্ত্রিক রীতিনীতি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। কমিশন আরও জানিয়েছে, ১৯৯৯ সালে নির্বাচন কমিশন শিবসেনার মূল সংবিধানের যে অগণতান্ত্রিক নিয়মগুলি গ্রহণ করেনি, নয়া সংশোধনীর মাধ্যমে সেই গোপনে সেই সব পদ্ধতি ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এর ফলে দলটি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন সংস্থায় মতো হয়ে উঠেছে।
এর আগে নির্বাচন কমিশন এই মামলার বিষয়ে এক অন্তর্বর্তীকালীন রায় দিয়েছিল। উদ্ধব ঠাকরে এবং একনাথ শিন্ডে – দুই শিবিরকেই ‘শিবসেনা’ দলের নাম এবং নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে ধনুক ও তীরের প্রতীক ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছিল। একনাথ শিবির তাদের দলের নাম দিয়েছিল ‘বালাসাহেবঞ্চি শিবসেনা’। তাদের প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ করা হয়েছিল ‘দুটি তরোয়াল এবং একটি ঢাল’। সেই নাম এবং প্রতীক অবিলম্বে অকার্যকর করেছে কমিশন। অন্যদিকে ‘শিবসেনা (উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে)’ দলকে প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ করা হয়েছিল ‘প্রজ্বলিত মশাল’। মহারাষ্ট্র বিধানসভার উপ-নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেই নাম এবং প্রতীক বহাল রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে উদ্ধব শিবিরকে।