Parliament special session: বিশেষ অধিবেশন শেষ হবে নয়া সংসদ ভবনে? কী পরিকল্পনা মোদী সরকারের
Parliament special session: বিশেষ সংসদীয় অধিবেশনের অ্যাজেন্ডা কী, অর্থাৎ, কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে, তা এখনও জানায়নি সরকার। প্রহ্লাদ জোশী বলেছেন, 'অমৃত কালে সংসদে ফলপ্রসূ আলোচনা ও বিতর্ক' চায় সরকার।

নয়া দিল্লি: ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডেকেছে কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে জানিয়েছেন, পাঁচদিন ধরে এই বিশেষ অধিবেশ চলবে। এই বিশেষ সংসদীয় অধিবেশনের অ্যাজেন্ডা কী, অর্থাৎ, কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে, তা এখনও জানায়নি সরকার। প্রহ্লাদ জোশী বলেছেন, ‘অমৃত কালে সংসদে ফলপ্রসূ আলোচনা ও বিতর্ক’ চায় সরকার। জল্পনা রয়েছে, পুরনো সংসদ ভবন থেকে নতুন সংসদ ভবনে কার্যক্রম স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করতেই এই বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে। অনেকে বলছেন, এই বিশেষ অধিবেশন শুরু হবে পুরানো সংসদ ভবনে, তবে শেষ হতে পারে নতুন সংসদ ভবনে। তবে, ভবন স্থানান্তরের থেকেও, এই অধিবেশনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিল পেশ করা হতে পারে বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাঁচ দিনের এই বিশেষ অধিবেশনে, ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’, ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি’, ‘মহিলা সংরক্ষণ’ সংক্রান্ত বিল পেশ করা হতে পারে। ‘ওয়ান নেশন, ওয়ান ইলেকশন’ – অর্থাৎ একই সঙ্গে লোকসভা এবং বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভার নির্বাচন করার প্রস্তাব, এর আগে বেশ কয়েকবার উঠেছে। ভারতের আইন কমিশনও এই বিষয়টির যৌক্তিকতা খতিয়ে দেখেছে। বর্তমানে, নিজ নিজ মেয়াদ ফুরোলেই লোকসভা বা বিধানসভা নির্বাচন হয়। সাধারণভাবে, প্রতি বছর দুটি চক্রে বিধানসভার নির্বাচনগুলি জন্য অনুষ্ঠিত হয়। ‘ওয়ান নেশন, ওয়ান ইলেকশন’ চালু হলে, লোকসভা এবং সমস্ত রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন একইসঙ্গে হবে। সম্ভবত একই দিনে ভোটগ্রহণ করা হবে।
অন্যদিকে, ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়েও নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে। খোদ প্রধানমন্তদ্রী নরেন্দ্র মোদী এই বিষয়টির উত্থাপন করেছেন। দেশে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করার সময় এসে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায়, যৌন পছন্দ এবং লিঙ্গ নির্বিশেষে প্রত্যেক নাগরিকের জন্য একটি সাধারণ ব্যক্তিগত আইন চালুর কথা বলে এই বিধি। বর্তমানে, উত্তরাধিকার, দত্তক গ্রহণ এবং বিবাহের মতো ব্যক্তিগত বিষয়ে, ধর্ম, রীতিনীতি এবং ঐতিহ্যের উপর ভিত্তি করে ভিন্ন ভিন্ন আইন রয়েছে। নয়া বিধি, এই সকল ব্যক্তিগত আইনকে প্রতিস্থাপন করবে।
