Minimum Age For Marriage Of Women: আরও এক বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের, বাড়ছে মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স
Decision on Minimum Age For Marriage Of Women: গত বছর স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য় রাখতে গিয়েই দেশের মহিলাদের নিজেদের প্রতিভাকে প্রকাশ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর থেকে বাড়ানোর কথা বলেছিলেন।
নয়া দিল্লি: চিন্তাভাবনা অনেকদিন আগে থেকেই ছিল, অবশেষে বাস্তবে রূপান্তর হতে চলেছে সেই ভাবনা। বুধবার মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ থেকে ২১ বছর করার প্রস্তাবনা পাশ করল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা(Union Cabinet)। সূত্রের খবর, এক বছর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স (Minimum Age For Marriage of Women) বাড়ানোর যে কথা বলেছিলেন, তারপর থেকেই এই বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছিল।
গত বছর স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য় রাখতে গিয়েই দেশের মহিলাদের নিজেদের প্রতিভাকে প্রকাশ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর থেকে বাড়ানোর কথা বলেছিলেন। সেই সময় তিনি বলেছিলেন, “আমাদের সরকার দেশের মেয়ে-বোনেদের স্বাস্থ্য নিয়ে ক্রমাগত উদ্বিগ্ন থাকে। মেয়েদের অপুষ্টির হাত থেকে রক্ষা করতে, সঠিক বয়সে তাদের বিয়ে হওয়া জরুরি।”
এতদিন ছেলেদের বিয়ের ন্যূনতম বিয়ের বয়স ২১ বছর হলেও, মেয়েদের ক্ষেত্রে সেই বয়সসীমা ছিল ১৮ বছর। নতুন বিল এনে মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়সও ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ বছর করার চিন্তাভাবনা করছে। এছাড়াও বাল্য়বিবাহ আইন, বিশেষ বিবাহ আইন ও হিন্দু বিবাহ আইনেও পরিবর্তন আনার চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্র।
সূত্রের খবর, কেন্দ্রের এই প্রস্তাবনাকে সমর্থন জানিয়েছে নীতি আয়োগের টাস্ক ফোর্স (Niti Ayog Task Force)। এই টাস্ক ফোর্সের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জয়া জেটলি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের আধিকারিক ডঃ ভিকে পালও এই টাস্ক ফোর্সের সদস্য। এছাড়া স্বাস্থ্য় ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব, নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক, উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রক সহ একাধিক মন্ত্রকের প্রতিনিধিরাও এই টাস্ক ফোর্সের সদস্য়।
গত বছর জুন মাসে এই টাস্ক ফোর্সের গঠন করে কেন্দ্র। গত ডিসেম্বরে প্রথম রিপোর্ট জমা দেয় টাস্ক ফোর্স। সেই রিপোর্টেই টাস্ক ফোর্সের তরফে জানানো হয়েছিল, মহিলাদের স্বাস্থ্যের কথা বিচার-পর্যালোচনা করে দেখা গিয়েছে, মহিলাদের প্রথম সন্তান হওয়ার বয়স ন্যূনতম ২১ বছর হওয়া উচিত। এছাড়া দেরীতে বিয়ে হলে অর্থনীতি, সামাজিক ও পরিবারের স্বাস্থ্যের উপর একটি ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। নারী ও শিশুর স্বাস্থ্য সুনিশ্চিত করতে বিয়ের ন্যূনতম বয়সসীমা বাড়ানো প্রয়োজন।