Delhi Air Pollution: পারদ পড়তেই কমছে দূষণের মাত্রা, এ বার কি স্কুলের মুখ দেখবে রাজধানীর পড়ুয়ারা?
Delhi School Reopening: গত সপ্তাহেই দূষণের মাত্রা কমায় শীর্ষ আদালতের তরফে দূষণ নিয়ন্ত্রক প্য়ানেলকে শিল্পাঞ্চল, নির্মাণকাজ ও কারখানাগুলির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়েছিল।
নয়া দিল্লি: দীপাবলির পর থেকেই দূষণের জেরে গৃহবন্দি স্কুল পড়ুয়ারা। মাস পার হয়ে গেলেও দিল্লিতে বায়ুদূষণের (Delhi Air Pollution) সূচক খারাপ থেকে অতি খারাপ পর্যায়ের মধ্য়েই ঘোরাফেরা করছে। এই পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের জন্য ফের স্কুলের দরজা খুলে দেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে শুক্রবারের মধ্যে, এমনটাই জানাল দূষণ নিয়ন্ত্রক প্যানেল(Air Pollution Panel)।
শীতকালে এমনিতেই দিল্লিতে দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, কিন্তু এ বছর নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দীপাবলির সময়ে বাজি পোড়ানো ও ফসলের অবশিষ্ট অংশ পোড়ানোয়, বায়ুদূষণের মাত্রা চরমে ওঠে। দূষণ নিয়ন্ত্রণেই দিল্লি সরকারের তরফে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, স্কুল বন্ধ রাখা হয়। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় ট্রাক প্রবেশ, নির্মাণকার্য সহ একাধিক ক্ষেত্রে। তবে গত সপ্তাহ থেকেই বাতাসে দূষণের মাত্রা কিছুটা হ্রাস পাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদক প্ল্যান্টগুলি পুনরায় চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এবার একই পথে স্কুল খোলা ও নির্মাণ কার্য চালু করার কথা ভাবছে দিল্লি সরকার।
আজ সুপ্রিম কোর্টে দিল্লির বায়ুদূষণ নিয়ে পরবর্তী শুনানি রয়েছে। তার আগেই বুধবার দূষণ নিয়ন্ত্রক প্যানেলের তরফে শীর্ষ আদালতকে জানানো হয়, দূষণ কিছুটা হ্রাস পেতে যেভাবে শিল্পাঞ্চলগুলিতে ছাড় দেওয়া হয়েছে, একইভাবে স্কুল খোলা ও নির্মাণকার্যে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। শুক্রবারের আগে বা শুক্রবারই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গত সপ্তাহেই দূষণের মাত্রা কমায় শীর্ষ আদালতের তরফে দূষণ নিয়ন্ত্রক প্য়ানেলকে শিল্পাঞ্চল, নির্মাণকাজ ও কারখানাগুলির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়ে মতামত চাওয়া হয়েছিল। বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলের মালিকেরা সুপ্রিম কোর্টে নিয়মিত যে আবেদন জানাচ্ছেন, তা আদৌই গ্রাহ্য করা হবে কিনা এবং গ্রহণ করা হলেও কী কী শর্ত আরোপ করা হবে, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় বায়ুর গুণমান নিয়ন্ত্রক কমিশনকেই দেওয়া হয়েছিল।
বুধবার প্য়ানেলের তরফে সুপ্রিম কোর্টকে জানানো হয়, ইতিমধ্য়েই বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আগামিদিনেও পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে এং তার প্রেক্ষিতেই স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গত সপ্তাহেই দিল্লির পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দেওয়ায় ৬টি থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট চালু করার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে এখনও দিল্লিতে ট্রাকের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে বলেই জানানো হয়েছে।
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল, কেবল উত্তর প্রদেশেই ১০২ টি শিল্পাঞ্চল বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা অতিক্রম করার জন্য এবং ৯০টি শিল্পকেন্দ্রকে নির্দেশ অমান্য করে সপ্তাহ শেষেও কাজ চালু রাখার জন্য জরিমানা করা হয়েছে।