Ashwini Vaishnaw: আগামী ৬ বছরে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে ভারত: অশ্বিনী বৈষ্ণব

Largest Economy: ২০১৪ সাল থেকেই দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিশেষ পরিবর্তন ঘটেছে। ফলে আগামী দু-বছরের মধ্যে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হতে চলেছে ভারত।

Ashwini Vaishnaw: আগামী ৬ বছরে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হবে ভারত: অশ্বিনী বৈষ্ণব
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 27, 2023 | 9:02 PM

নয়া দিল্লি: দেশের উন্নয়নে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন (Narendra Modi Govt) সরকার একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে উন্নয়ন ঘটাতে বিভিন্ন সরকারি নীতি নিয়েছে। যার মাধ্যমে ২০১৪ সাল থেকেই দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিশেষ পরিবর্তন ঘটেছে। ফলে আগামী দু-বছরের মধ্যে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতিতে (Largest Economy) পরিণত হতে চলেছে ভারত। শনিবার নরেন্দ্র মোদী সরকারের ৯ বছরের বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে এমনই জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। শুধু তাই নয়, বিশ্বের দরবারে ভারতের উপস্থিতি উজ্জ্বল হয়ে উঠছে এবং গোটা বিশ্ব ভারতের উপর আস্থাশীল হয়ে উঠছে বলেও দাবি তাঁর (Ashwini Vaishnaw)। তাই দেশবাসীকে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকারের উপর আস্থা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে তথ্য-প্রযুক্তি ও রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব আরও বলেন, “নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।”

এদিন নরেন্দ্র মোদীর সরকারের ৯ বছরের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে এক জাতীয় সম্মেলন হয়। সেই সম্মেলনেই নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত কিভাবে বিশ্ব অর্থনীতিতে উপরের দিকে উঠে এসেছে, তার ব্যাখ্যা দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি জানান, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভারত দশম স্থান থেকে পঞ্চম স্থানে চলে এসেছে। আগামী দু-বছরের মধ্যে ভারত বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে এবং আগামী ৬ বছরের মধ্যে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে। এই সংকল্প নিয়েই দেশ এগিয়ে চলেছে বলেও দাবি মন্ত্রীর।

প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে সারাদেশে নতুন চিন্তাভাবনা, দৃষ্টিভঙ্গী এবং মানসিকতার পরিবর্তন ঘটেছে বলেও জানান তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি বলেন, “আগে দরিদ্রদের শুধু ভোটব্যাঙ্ক হিসাবে দেখা হতো। ২০১৪ সাল থেকে সমাজের দরিদ্র এবং দুর্বল অংশের কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন প্রকল্প আনা হয়েছে এবং তার বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সরকারি প্রকল্পগুলি একেবারে তৃণমূল স্তরে পৌঁছে দেওয়ারও ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং জনগণকে ক্ষমতায়ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যা সামগ্রিকভাবে সমাজ-অর্থনীতিতে বিশেষ পরিবর্তন এনেছে।” এপ্রসঙ্গে পূর্বতন সরকারকেও একহাত নিয়েছেন অশ্বিনী বৈষ্ণব। ২০১৪ সালের আগে কংগ্রেস সরকারের অধীনে দেশ ভঙ্গুর হয়ে উঠেছিল। তারপর ২০১৪ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রচেষ্টায় পুনরায় বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশ হিসাবে উঠে এসেছে ভারত।

করোনা মহামারীর সময়ও সারা দেশে সময়মতো ভ্যাকসিন দেওয়া, নিরাপদ পানীয় জল নিশ্চিত করা এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অধীনে আবাসন দেওয়া থেকে শুরু করে, আয়ুষ্মান ভারত-এর অধীনে সকল দেশবাসীকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া, রেল, বিমান ও সড়কের উন্নয়ন ঘটিয়ে দেশের পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করে তুলেছেন নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার। এছাড়া নরেন্দ্র মোদীর তৎপরতাতেই দেশে ডিজিটাল ক্ষেত্রে বিপ্লব এসেছে, ডিজিটাল পেমেন্টের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। সবমিলিয়ে, ২০১৪ সালের পর থেকেই ভারত সামগ্রিকভাবে এগিয়ে গিয়েছে বলে জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।