Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

UP Teacher: ‘আমি ভুল করেছি, কিন্তু কোনও সাম্প্রদায়িক বিষয় ছিল না’, ক্ষমাপ্রার্থী উত্তরপ্রদেশের অভিযুক্ত শিক্ষিকা

Muzaffarnagar: সহপাঠীর হাতে থাপ্পড় খাওয়ার ঘটনার পর থেকে শিশুটি ট্রমায় আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন তার বাবা। অন্যদিকে, ঘটনার পর থেকে বন্ধ রয়েছে মুজফরনগরের ওই স্কুলটি। পড়ুয়াদের পার্শ্ববর্তী অন্য স্কুলে স্থানান্তরিত করা হবে বলে রাজ্য শিক্ষা দফতর জানিয়েছে।

UP Teacher: 'আমি ভুল করেছি, কিন্তু কোনও সাম্প্রদায়িক বিষয় ছিল না', ক্ষমাপ্রার্থী উত্তরপ্রদেশের অভিযুক্ত শিক্ষিকা
উত্তরপ্রদেশের শিক্ষিকা তৃপ্তা ত্যাগী ভিডিয়োবার্তায় ক্ষমাপ্রার্থী।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 28, 2023 | 10:09 PM

মুজফরনগর: উত্তরপ্রদেশের শিক্ষিকার (UP Teacher) এক ছাত্রকে দিয়ে সহপাঠীকে থাপ্পড় মারানোর ঘটনায় দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এবার সেই ঘটনায় ভুল স্বীকার করে ভিডিয়োবার্তা (Video message) দিলেন অভিযুক্ত শিক্ষিকা তৃপ্তা ত্যাগী। করজোড়ে তিনি ক্ষমা চেয়ে বলেন, আমি একটা ভুল করেছি। কিন্তু, তার মধ্যে কোনও সাম্প্রদায়িক বিষয় ছিল না। ওই ধরনের শাস্তি প্রদান প্রসঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষিকা আরও বলেন, ওই শিশু হোমওয়ার্ক করেনি। তারা যাতে সেটা না ভোলে সেটা নিশ্চিত করাই আমার উদ্দেশ্য ছিল।

মুজফফরনগরের এক বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা তৃপ্তা ত্যাগী। তিনি শারীরিকভাবে বিশেষভাবে সক্ষম। এদিনের ভিডিয়োবার্তায় সেকথার উল্লেখ করেন ৬০ বছর বয়সি ওই শিক্ষিকা। সহপাঠীকে দিযে ছাত্রকে ছাপ্পড় দেওয়ার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, আমি উঠতে পারিনি। তাই আমি কিছু বাচ্চাকে তাকে কয়েকবার চড় মারতে বলেছিলাম, যাতে সে পড়াশোনা করে। যদিও এই ঘটনার জেরে বর্তমানে তৃপ্তা ত্যাগীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানোর অভিযোগও উঠেছে। তাই এদিন ভিডিয়োবার্তায় বারবার করজোড়ে সেই অভিযোগ খারিজ করেন ৬০ বছর বয়সি ওই শিক্ষিকা। তিনি বলেন, আমার ভুল হয়েছে স্বীকার করে আমি করজোড়ে ক্ষমা চাইছি। তিনি সমস্ত ধর্মের প্রতি সহর্মমী বলেও দাবি তৃপ্তা ত্যাগীর। উদাহরণস্বরূপ তিনি বলেন, অনেক মুসলিম ছাত্রদের অভিভাবক স্কুলের ফি দিতে পারেন না। আমি তাদের বিনামূল্যে পড়াই। মুসলিম বাচ্চাদের নিগ্রহ করার কোনও উদ্দেশ্য আমার নেই।

এদিকে, ওই ঘটনার পর থেকে শিশুটি ট্রমায় আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন তার বাবা। তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে সে দু-দিন খাবার খেতে পারেনি। কেবল ওই ভয়ঙ্কর ঘটনার কথা আউড়ে যাচ্ছিল। ডাক্তারি পরীক্ষার পর এখন সে কিছুটা ভাল রয়েছে। অন্যদিকে, ঘটনার পর থেকে বন্ধ রয়েছে মুজফরনগরের ওই স্কুলটি। পড়ুয়াদের পার্শ্ববর্তী অন্য স্কুলে স্থানান্তরিত করা হবে বলে রাজ্য শিক্ষা দফতর জানিয়েছে।