AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

UP Man Set Himself on Fire: চোখে জল, থানার বাইরেই চুপচাপ গায়ে আগুন দিলেন ট্যাক্সিচালক! কারণ শুনে স্তম্ভিত পুলিশ প্রধানও

UP Man Set Himself on Fire: ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, নেপাল সীমান্তের কাছে অবস্থিত ওই থানার সামনে গতকাল রাতে গায়ে আগুন দেন ওই ট্যাক্সিচালক। তাঁকে জ্বলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়েই ছুটে আসেন পুলিশকর্মীরা। তারা কম্বল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন।  

UP Man Set Himself on Fire: চোখে জল, থানার বাইরেই চুপচাপ গায়ে আগুন দিলেন ট্যাক্সিচালক! কারণ শুনে স্তম্ভিত পুলিশ প্রধানও
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই ব্যক্তি।
| Edited By: | Updated on: Mar 17, 2022 | 8:58 AM
Share

লখনউ: গোটা সংসারের পেট চালাতে কোনওমতে টাকা জোগাড় করে গাড়ি কিনেছিলেন। সেই গাড়িই চালাতেন। কিন্তু এলাকার মস্তানদের অত্যাচারে সেইটুকুও সম্ভব হচ্ছিল না। কারণ মাসে মাসেই তারা তোলাবাজি করতে হাজির হয়। পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি। বরং প্রতি মাসে স্থানীয় থানা থেকেও আড়াই হাজার টাকা করে ঘুষ নেওয়া হত। একদিকে মস্তান, অন্যদিকে পুলিশের তোলাবাজিকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছিলেন। শেষে বুধবার চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন। থানার সামনে গিয়েই গায়ে আগুন দিলেন। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের লখিমপুর খেরি(Lakhimpur Kheri)-তে।

শিবম গুপ্ত নামক ওই ব্যক্তি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হয়েছেন। তাঁর দেহের অনেকাংশই পুড়ে গিয়েছে। ক্ষতের পরিমাণ অনেকটাই বেশি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। গুরুতর আহত ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, তিনি ট্যাক্সি চালান। কিন্তু স্থানীয় কিছু গুন্ডার অত্যাচারে কাজ করা সম্ভব হচ্ছিল না। তারা যেকোনও সময়ই গাড়ির দখল নিত, আবার মাসে মাসে তোলাবাজিও করত। এই কাজে তাদের মদত দিত পুলিশও। তারাও মাস গেলে আড়াই হাজার টাকা করে নিত। দিনের পর দিন এই অত্যাচার চলাতেই বুধবার রাতের দিকে তিনি লখিমপুর খেরির গৌরি ফান্টা শহরের পুলিশ স্টেশনের সামনে হাজির হন। সেখানেই থানার বাইরে তিনি গায়ে আগুন দিয়ে দেন। পরে পুলিশকর্মীরাই তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, নেপাল সীমান্তের কাছে অবস্থিত ওই থানার সামনে গতকাল রাতে গায়ে আগুন দেন ওই ট্যাক্সিচালক। তাঁকে জ্বলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়েই ছুটে আসেন পুলিশকর্মীরা। তারা কম্বল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ব্যক্তি পুলিশি বয়ানে বলেন, “স্থানীয় গুন্ডারা আমায় জোর করে গাড়ি চালাতে দিত না। ওরা আমায় মারধরও করত। অন্যদিকে, পুলিশও আমার কাছ থেকে প্রতি মাসে আড়াই হাজার টাকা ঘুষ নিত।”

লখিমপুরের পুলিশ প্রধান বলেন,”ওই ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই এলাকার স্টেশন-ইনচার্জকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে। ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন তাঁকে ৩-৪ জন হেনস্থা করত। পুলিশও তাদের মদত করত।”