AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Unknown Facts: জুতো পরলেই পাপ দেবেন ঈশ্বর! ভারতের কোন গ্রামে বছরের পর বছর চলছে এই প্রথা?

ভারতে এমন একটি গ্রাম রয়েছে, যেখানে থাকা কোনও মানুষ কোনওকালেই জুতো পরেননি। বাচ্চা থেকে শুরু করে সে গ্রামের বয়স্ক ব্যক্তিরা খালি পায়েই ঘোরাফেরা করবে। দূরদূরান্ত যেতে হলেও সেই গ্রামের মানুষজন জুতো ছাড়াই যাতায়াত করেন। কোথায় এই গ্রাম?

Unknown Facts: জুতো পরলেই পাপ দেবেন ঈশ্বর! ভারতের কোন গ্রামে বছরের পর বছর চলছে এই প্রথা?
Unknown Facts: জুতো পরলেই পাপ দেবেন ঈশ্বর! ভারতের কোন গ্রামে বছরের পর বছর চলছে এই প্রথা?Image Credit: Ekaterina Goncharova/Moment/Getty Images
| Updated on: Feb 12, 2025 | 4:37 PM
Share

একটা আস্ত গ্রামের সক্কলে জীবনে কখনও জুতো পরেননি। এ কথা শুনলে বিশ্বাস হয়তো অনেকের হবে না। তবে এটাই সত্যি। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নানা সময় অবাক করা বহু ঘটনা ঘটে থাকে। অনেক সময় যা শুনলে মানুষের চোখ ওঠে কপালে। ভারতে এমন একটি গ্রাম রয়েছে, যেখানে থাকা কোনও মানুষ কোনওকালেই জুতো পরেননি। বাচ্চা থেকে শুরু করে সে গ্রামের বয়স্ক ব্যক্তিরা খালি পায়েই ঘোরাফেরা করবে। দূরদূরান্ত যেতে হলেও সেই গ্রামের মানুষজন জুতো ছাড়াই যাতায়াত করেন। কোথায় এই গ্রাম?

ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতি থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে সেই গ্রাম। ওই গ্রামের নাম ভেমানা ইন্দলু। শুধু খালি পায়ে হাঁটাই নয়, এই গ্রামের বাসিন্দাদের অভ্যাস সেখানে কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালেও যান না। যদি কোনও কারণে যদি তাঁদের আত্মীয়ের বাড়িতে অন্যত্র যেতে হয়, তা হলে ইন্দলু গ্রামের বাসিন্দারা বাইরের কোনও খাবার খান না, জল পান করেন না। সেখানকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এটা তাঁদের পুরনো ঐতিহ্য।

ইন্দলু গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন যে, সেখানে যদি কোনও প্রশাসনিক আধিকারিক আসেন, তিনিও জুতো খুলে সেই গ্রামের ভেতর প্রবেশ করেন। ওই গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সেখানে দেবতা ভেঙ্কটেশ্বর স্বামীর আধারণা করা হয়। ইন্দলু গ্রামে বসবাস করা ব্যক্তিদের ধর্মীয় বিশ্বাস এই যে, তাঁরা জুতো পরলে দেবতা ভেঙ্কটেশ্বর স্বামী রেগে যেতে পারেন। তাই এখানে কেউ কোনও দিন জুতো পরেন না। বর্তমানে এমন রীতি মানা হয় শুনলে অনেকেই অবাক হয়ে যান। কিন্তু ওই গ্রামের বাসিন্দারা পূর্বপুরুষদের মেনে আসে রীতিতে কোনও ত্রুটি রাখতে চান না।

বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী, এই গ্রামে ২৫টি ঘর আছে। যেখানে মোট ৮০ জন মানুষ বসবাস করেন। এবং এই গ্রামে মোট ৫২ জন ভোটার রয়েছেন। জানা গিয়েছে, এই গ্রামে বাস করা মহিলাদের ঋতুস্রাব হলে তাঁদের গ্রামের বাইরে দুটি ঘরে থাকতে হয়। সেখানে এক সপ্তাহ কাটানোর পর সেই মহিলারা আবার বাড়ি ফিরে আসেন।

বিঃ দ্রঃ – এই প্রতিবেদনে উল্লিখিত তথ্য ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে দেওয়া। এই বিষয়ে কোনও দায় নেই TV9 Bangla-র।