Election Commission: এক সপ্তাহের ডেডলাইন, নাম না করেই রাহুলকে নিশানা কমিশনের
Election Commission: 'ভোট চুরি' বিতর্কে নাম না করেই লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে নিশানা করেন তিনি। বলেন, ভোট চুরির মতো শব্দ 'সংবিধানকে অপমানের সমান'। পাশাপাশি, রাহুল যে সকল অভিযোগ তুলেছে তার ভিত্তিতে সাংসদকে এক সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে বলেছে কমিশন। অন্যথা তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে।

নয়াদিল্লি: রাজনৈতিক স্বার্থপূরণের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাঁধে বন্দুক রেখে চালানো হচ্ছে। রবিবার দুপুরে নয়াদিল্লিতে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে ঠিক এই সুরই শোনা যায় মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের মুখে। তবে তারপরেও কমিশন যে ভোটারদের পাশেই ‘পাহাড়ের মতো’ দাঁড়িয়ে থাকবে বলে বার্তা দেন তিনি।
মুখ্যনির্বাচনী কমিশনার আরও বলেন, “আমাদের জন্য সকল রাজনৈতিক দলগুলিই সমান। শাসক ও বিরোধীদের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই।” এরপরেই ‘ভোট চুরি’ বিতর্কে নাম না করেই লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে নিশানা করেন তিনি। বলেন, ভোট চুরির মতো শব্দ ‘সংবিধানকে অপমানের সমান’। পাশাপাশি, রাহুল যে সকল অভিযোগ তুলেছে তার ভিত্তিতে সাংসদকে এক সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে বলেছে কমিশন। অন্যথা তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে।
রাহুলের বিরুদ্ধে যখন তোপ দাগছে কমিশন। সেই সময় ভোটার অধিকার যাত্রা শুরু করছেন বিরোধী দলনেতা। রবিবার বিহার থেকেই শুরু হয়েছে এই কর্মসূচি যা চলবে টানা ১৬ দিন। এর মাঝে ২০টি জেলা মিলিয়ে মোট ১৩০০ কিলোমিটার হবে এই যাত্রা।
‘ভোট চুরির’ অভিযোগকেও রবির বৈঠক থেকে একেবারে নস্যাৎ করে দিয়েছে কমিশন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার স্পষ্ট জানিয়েছেন, “লোকসভা নির্বাচনে ১ কোটির বেশি কর্মচারী, ১০ লাখের বেশি বুথ লেভেল এজেন্ট, ২০ লাখের বেশি পোলিং এজেন্ট নির্বাচনের জন্য কাজ করেছে। এত পারদর্শী, এত বড় প্রক্রিয়ায় কেউ কী ভোটের চুরি করতে পারে? তারপরেও ভোট চুরির অভিযোগ উঠেছে। এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগকে কমিশন ভয় পায় না।”

