Bank Employee Thrashed: সবার সামনেই ব্যাঙ্ক কর্মীকে সজোরে থাপ্পড়, ঝাল মেটাতে গিয়ে পুলিশের জালে ব্যক্তি
Bank Employee Thrashed: ব্যাঙ্কের মধ্যে ঢুকে কর্মীকে মারধর। প্রকাশ্যে সেই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ।
গান্ধীনগর: সাধারণত ব্যাঙ্ক থেকে ঘুরে এসে একইরকম অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নেন। খুব সাধারণ কয়েকটি অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, ব্যাঙ্ককর্মী খারাপ ব্যবহার করেছেন। কোনওরকম সাহায্য পাওয়া যায়নি ব্যাঙ্ক কর্মীর থেকে। তবে এবার উলোট পূরাণ। এবার ব্যাঙ্ক কর্মীর সঙ্গেই অভব্য আচরণ করলেন দুই গ্রাহক। লোন সংক্রান্ত কোনও বিষয় নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় এক ব্যাঙ্ক কর্মীকে মারধর করলেন দুই ব্যক্তি। হোম লোন ডেস্কে কর্মরত ছিলে সেই কর্মী। তাঁর সঙ্গে এহেন আচরণের জন্য পুলিশ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করেছে। গুজরাটে ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার নাদিয়াদ-কাপাডরঞ্জ শাখার ঘটনা।
জানা গিয়েছে ওই ব্যাঙ্ক কর্মীর নাম মনীশ ধানগর। তিনি হোম লোন ডেস্কে কাজ করেন। ব্যাঙ্ক কর্মীর সঙ্গে অভব্য আচরণের সম্পূর্ণ ভিডিয়ো একটি সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই সেই ভিডিয়োটি আপলোড করেছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, নীল টি-শার্ট পরা এক লম্বা ব্যক্তি এক ব্যাঙ্ক কর্মীর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। তারপর তাঁকে সজোরে থাপ্পর মারলেন। ব্যাঙ্ক কর্মীকে ওই ব্যক্তি মারছেন দেখে সকলে সেই ডেস্কের সামনে জড়ো হন। তাঁকে আটকানোর জন্য বাকি কর্মীরা এগিয়ে আসলে ওই ব্যক্তির সঙ্গে থাকা এক ব্যক্তি তাঁদের বাধা দেন। অনেকক্ষণ এই হাতাহাতি চলতে থাকে।
#WATCH | An employee of the Bank of India, Nadiad branch was thrashed by a customer over the issue of a bank loan on 3rd February. Case registered under SC-ST (Prevention of Atrocities Act) in Nadiad Town Police Station#Gujarat pic.twitter.com/JJbMzA2cOO
— ANI (@ANI) February 5, 2023
এক সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, ধানগর পুলিশে অভিযোগে জানিয়েছেন, “শুক্রবার দুপুরে সমর্থ ব্রহ্মভট্ট নামে এক গ্রাহক শাখায় আসেন এবং আমাকে মারতে শুরু করেন। তিনি আমাকে তিন থেকে চারবার চড় মারেন ও লাথিও মারেন। যখন বাকি কর্মীরা এগিয়ে আসেন সমর্থের বন্ধু পার্থ এগিয়ে এসে আমায় লাথি মারেন।” গত শুক্রবার ৩ ফেব্রুয়ারি এই ঘটনা ঘটে। আর সংবাদ সংস্থা এএনআই অনুযায়ী, নাদিয়াদ টাউন পুলিশ স্টেশনে এসসি-এসটি (নৃশংসতা প্রতিরোধ আইন)-র অধীনে মামলা দায়ের হয়েছে। ধানগর জানিয়েছেন, ব্য়াঙ্কের তরফে সমর্থকে তাঁর হাউজ ইনস্যুরেন্স পলিসির একটি কপি জমা দিতে বলা হয়েছিল। এর জন্য তাঁকে বারবার ফোন করা হয়েছিল ব্যাঙ্কের তরফে। তাতেই ব্যাঙ্ক ও কর্মীদের উপর রেগে ছিলেন তিনি। আর ব্যাঙ্কে এসে সেই রাগ মেটালেন ব্যক্তি। সঙ্গে জড়িয়ে পড়লেন পুলিশের জালেও।