AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ভ্যাকসিন বাজারে এলে হাহাকার পড়তে পারে, বড় আশঙ্কার কথা জানিয়ে মোদীকে চিঠি মমতার

গতকাল কেন্দ্রীয় সরকার এই নতুন নির্দেশিকায় জানিয়েছে, ১ মে থেকে ১৮ উর্ধ্ব সকলকে ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে। একই সঙ্গে খোলা বাজারের টিকা মিলবে। এই নিয়েই আপত্তি জানিয়ে মমতা এ দিনের চিঠিতে মোদীকে লিখেছেন, এই নীতির জেরে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠবে।

ভ্যাকসিন বাজারে এলে হাহাকার পড়তে পারে, বড় আশঙ্কার কথা জানিয়ে মোদীকে চিঠি মমতার
অলংকরণ- অভিজিৎ বিশ্বাস
| Updated on: Apr 20, 2021 | 4:08 PM
Share

কলকাতা: কেন্দ্রীয় সরকারের ভ্যাকসিন নীতির সমালোচনা করে ফের একবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল কেন্দ্রীয় সরকার এই নতুন নির্দেশিকায় জানিয়েছে, ১ মে থেকে ১৮ উর্ধ্ব সকলকে ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে। একই সঙ্গে খোলা বাজারের টিকা মিলবে। এই নিয়েই আপত্তি জানিয়ে মমতা এ দিনের চিঠিতে মোদীকে লিখেছেন, এই নীতির জেরে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠবে। বাজারেও জোগান অনিয়মিত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।

চিঠিতে মমতা লিখেছেন, “গত ২৪ ফেব্রুয়ারি চিঠি দিয়ে যখন আবেদন করি যে রাজ্য সরকারগুলিকে সরাসরি প্রস্তুতকারক সংস্থার কাছে থেকে ভ্যাকসিন কিনে বিনামূল্যে টিকাকরণ করতে দেওয়া হোক, তখন কোনও সাড়া মেলেনি। এখন যখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ফলে সংক্রমণ বেসামাল গতিতে বেড়ে চলেছে, তখন কেন্দ্রীয় সরকার সাধারণ মানুষের সামনে ভ্যাকসিন তুলে ধরে দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে চাইছে। কেন্দ্রের তরফে প্রাপ্তবয়স্ক সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা জানানো হলেও তার দাম এবং সরবরাহের বিষয়ে কোনও স্বচ্ছ ধারণাই দেওয়া হয়নি।”

ঠিক এই কারণেই বাজারে আচমকা চাহিদা বৃদ্ধি এবং তার সঙ্গে হাহাকার বৃদ্ধি পাবে, যে কারণে সাধারণ মানুষকে ভুগতে হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মমতা। পাশাপাশি, ভারতীয় বাজারের ব্যাপক চাহিদা অনুযায়ী জোগান দেওয়ার ক্ষমতা যে এখনও ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির নেই, সেই বিষয়টিও বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন তিনি।

আর পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত রাহুল গান্ধী

চিঠির শেষে মমতা লিখেছেন, চাহিদাকে সামাল দেওয়ার মতো যথেষ্ট পরিমাণ ভ্যাকসিন এখনও বাজারে আসেনি। সেই কারণে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পর্যাপ্ত পরিমাণ টিকা যাতে হাতে আসে তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তিনি আবেদন জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ভ্যাকসিনের বাজারে আসা, বণ্টন এবং এর বিক্রয় প্রক্রিয়ায় যাতে স্বচ্ছতা বজায় থাকে তা নিশ্চিত করার আবেদন তিনি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। নাহলে কালোবাজারির জেরে দাম সাধারণ মানুষের আয়ত্তের বাইরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা তাঁর।

আর পড়ুন: দ্বিতীয় ডোজ় নেওয়ার পরও আক্রান্ত বহু! প্রথম শ্রেণির লড়াকুরাই আজ বেসামাল