Mamata will visit Delhi: সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের রণকৌশল ঠিক করতে চলতি সপ্তাহেই দিল্লি সফর মমতার
CM Mamata Banerjee: চরম বিরোধিতার মধ্যেও আগের বছর সংসদের বাদল অধিবেশনে দুই কক্ষেই পাশ হয় প্রস্তাবিত তিনটি কৃষি আইন। এই আইন পাশের পর থেকেই আইনের বিরোধিতা করে আন্দোলনে নেমেছিলেন কৃষকরা। সরকার তাদের সঙ্গে আলোচনার সবরকমের চেষ্টা চালালেও আইন প্রত্যাহারের দাবিতেই অনড় ছিলেন কৃষকরা।
নয়া দিল্লি: তৃতীয়বারের জন্য বিপুল জনাদেশ নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর দ্বিতীয়বারের জন্য দিল্লি আসছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। জানা গিয়েছে, নভেম্বরের ২২ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যেই দিল্লি আসবেন মমতা। আগামী ২৯ নভেম্বর থেকে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের আগে মমতার এই দিল্লি সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সূত্রের খবর, দিল্লি সফরে সংসদ অধিবেশন নিয়ে বিরোধী নেতাদের সঙ্গে মমতার বৈঠকের সম্ভাবনা প্রবল। শুক্রবার, খানিক আকস্মিকভাবেই তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের (Farm laws repealed) কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। তিনি জানিয়েছিলেন, সংসদের আগামী অধিবেশনে নিয়মমাফিক কৃষি আইন গুলি প্রত্যাহার করা হবে। সংসদের আগামী অধিবেশনে কৃষি আইন প্রত্যাহারের বিষয়টি যে সব থেকে বেশি গুরুত্ব পাবে, সেই বিষয়ে সংশয়ের কোনও অবকাশ নেই। সেই দিক থেকে মমতার এই সফর গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
চরম বিরোধিতার মধ্যেও আগের বছর সংসদের বাদল অধিবেশনে দুই কক্ষেই পাশ হয় প্রস্তাবিত তিনটি কৃষি আইন। এই আইন পাশের পর থেকেই আইনের বিরোধিতা করে আন্দোলনে নেমেছিলেন কৃষকরা। সরকার তাদের সঙ্গে আলোচনার সবরকমের চেষ্টা চালালেও আইন প্রত্যাহারের দাবিতেই অনড় ছিলেন কৃষকরা। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরেও সংসদে তিনটি আইন প্রত্যাহার না হওয়া অবধি কৃষকরা পিছিয়ে আসতে রাজি নন, এমনটাই জানিয়েছিলেন কৃষক আন্দোলনের অন্যতম পরিচিত মুখ রাকেশ টিকায়েত। আইন প্রত্যাহার ঘোষণার পর টুইটারে কৃষকদের আন্দোলনকে কুর্নিশ জানিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, এই দিল্লি সফরের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও দেখা করতে পারে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে সেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মমতা স্বয়ং। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে রাজ্যের ঘূর্ণিঝড় আমফান ও ইয়াসের ক্ষতিপূরণ বাবদ বকেয়া টাকা চাওয়ায় পাশাপাশি বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধি নিয়েও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হতে পারে মমতার। গতমাসে বিএসএফের এক্তিয়ার বৃদ্ধি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি লিখে তীব্র আপত্তি জানিয়েছিলেন মমতা। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় এই কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই প্রস্তাবও পাশ হয়েছে। এই সব দিক থেকেও মমতার এই দিল্লি সফরকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এর আগে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর পরই, জুলাই মাসে দিল্লি এসেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। সেইবারও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে রাজ্যের দাবিদাওয়া নিয়ে আবেদন করেছিলেন তিনি। বেশ কিছুদিন ধরেই বিজেপিকে আক্রমণের পাশাপাশি কংগ্রেসকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করছেন মমতা সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। ঠিক তারপরেই দিল্লি সফরে কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে মমতা সম্পর্কের সমীকরণ কোন দিকে যায় সেদিকেও নজর থাকবে সকলের।
আরও পড়ুন অনলাইনে মাদকের হোম ডেলিভারি, মারাত্মক অভিযোগে আম্যাজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের পুলিশের