Informal Sector: ৭ বছরে বাংলায় কাজ হারিয়েছেন ৩০ লক্ষ মানুষ: NSO

Informal Sector: বাংলা ছাড়াও এই সাত বছরে কর্নাটকে কাজ হারিয়েছেন ১৩ লক্ষ মানুষ। সেখানে তামিলনাড়ুতে ১২ লক্ষ, উত্তর প্রদেশে ৭ লক্ষ ৯১ হাজার, অন্ধ্র প্রদেশে ৬ লক্ষ ৭৭ হাজার, কেরলে ৬ লক্ষ ৪০ হাজার, অসমে ৪ লক্ষ ৯৪ হাজার এবং তেলঙ্গানায় ৩ লক্ষ ৪৪ হাজার মানুষ এই সাত বছরে অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ হারিয়েছেন।

Informal Sector: ৭ বছরে বাংলায় কাজ হারিয়েছেন ৩০ লক্ষ মানুষ: NSO
বাংলার পাশাপাশি আরও কয়েকটি রাজ্যে অসংগঠিত শ্রমিকের সংখ্যা কমেছে
Follow Us:
| Updated on: Jul 08, 2024 | 9:30 PM

নয়াদিল্লি: বাংলায় কাজ নেই বলে অভিযোগ তুলে সরব বিরোধীরা। সরকারি বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়োগ আটকে। বাংলায় বেসরকারি ক্ষেত্রেও চাকরি হচ্ছে না বলে বিরোধীদের অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্যাল অফিসের (NSO) একটি তথ্য সামনে এল। যে তথ্য বলছে, সাত বছরে অসংগঠিত ক্ষেত্রে বাংলায় কাজ হারিয়েছেন ৩০ লক্ষ মানুষ। সেখানে মহারাষ্ট্রে এই সাত বছরে আরও ২৪ লক্ষ মানুষ কাজ পেয়েছেন।

অসংগঠিত ক্ষেত্রে ২০২১-২২ অর্থবর্ষ ও ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের বার্ষিক সার্ভের রিপোর্ট গত শুক্রবার প্রকাশ করেছে এনএসও। ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষের সার্ভের সঙ্গে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের সার্ভের তুলনা করে দেখা যাচ্ছে, ২৮টি রাজ্যের মধ্যে ১৩টি রাজ্যে অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ হারিয়েছেন মানুষ। তিনটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলেও অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ হারিয়েছেন অনেকে।

সেই সার্ভেতে দেখা গিয়েছে, ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষ, অর্থাৎ সাত বছরে বাংলায় অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ হারিয়েছেন ৩০ লক্ষ মানুষ। ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে যেখানে বাংলায় অসংগঠিত শ্রমিকের সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৩৫ লক্ষ, সেই সংখ্যা সাত বছর পর কমে হয়েছে ১ কোটি ৫ লক্ষ। অন্যদিকে, এই সাত বছরে কর্নাটকে কাজ হারিয়েছেন ১৩ লক্ষ মানুষ। সেখানে তামিলনাড়ুতে ১২ লক্ষ, উত্তর প্রদেশে ৭ লক্ষ ৯১ হাজার, অন্ধ্র প্রদেশে ৬ লক্ষ ৭৭ হাজার, কেরলে ৬ লক্ষ ৪০ হাজার, অসমে ৪ লক্ষ ৯৪ হাজার এবং তেলঙ্গানায় ৩ লক্ষ ৪৪ হাজার মানুষ এই সাত বছরে অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ হারিয়েছেন।

কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে দিল্লিতে এই সাত বছরে অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ হারিয়েছেন ৩ লক্ষ মানুষ। সেখানে চণ্ডীগড়ে কাজ হারিয়েছেন ৫১ হাজার অসংগঠিত শ্রমিক। আর পুদুচেরিয়ে ৩১ হাজার অসংগঠিত শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন।

অন্যদিকে, মহারাষ্ট্র ছাড়াও গুজরাট, ওড়িশা এবং রাজস্থানে অসংগঠিত ক্ষেত্রে শ্রমিকের সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের জিডিপি-তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে অসংগঠিত ক্ষেত্রের। অদক্ষ, অর্ধদক্ষ এবং দক্ষ বহু শ্রমিক এই সেক্টরে কাজ করেন। ছোট ব্যবসা, হকার,যৌথ উদ্যোগে ব্যবসা এই সেক্টরের মধ্যে পড়ে।