AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Modi’s Foreign Policy: কেন বিদেশনীতিতে সফল মোদী, বিশ্লেষণ করলেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত

WITT 2024: নিজের বক্তব্যের শুরুতেই বিদেশনীতি ঠিক করা কতটা কঠিন এবং জটিল তা তুলে ধরেন সৈয়দ আকবরুদ্দিন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “বিদেশনীতির নির্ধারণ যে কোনও নীতি নির্ধারণের মধ্যে সবথেকে কঠিন কাজ। কারণ এখানে আপনার কোনও সুনির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষ নেই। এখানে প্রচণ্ড প্রতিযোগিতা। মাঝে মাঝে প্রতিযোগিতা দ্বন্দ্বে রূপান্তরিত হয়।” বিদেশনীতিতে সাফল্য পেতে গেলে কোন কোন শর্ত পূরণ হওয়া দরকার তাও জানিয়েছেন আকবরুদ্দিন।

Modi's Foreign Policy: কেন বিদেশনীতিতে সফল মোদী, বিশ্লেষণ করলেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত
রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রাক্তন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত সৈয়দ আকবরুদ্দিন Image Credit: TV9 Bangla
| Updated on: Feb 26, 2024 | 1:23 PM
Share

নয়াদিল্লি: টিভি৯ নেটওয়ার্ক আয়োজিত হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনও জমে উঠেছে বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের আলোচনায়। ‘Not an Era of War’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রাক্তন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত সৈয়দ আকবরুদ্দিন অংশ নিয়ে ছিলেন সেই আলোচনায়। সেখানেই তিনি জানালেন, মোদী জমানায় ভারতের বিদেশনীতির সাফল্যের কথা। প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার পর মোদী যে ভাবে নিজেকে বিশ্বনেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে সমর্থ হয়েছেন, সে প্রসঙ্গও উঠেছিল হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডের-র মঞ্চে।

নিজের বক্তব্যের শুরুতেই বিদেশনীতি ঠিক করা কতটা কঠিন এবং জটিল তা তুলে ধরেন সৈয়দ আকবরুদ্দিন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “বিদেশনীতির নির্ধারণ যে কোনও নীতি নির্ধারণের মধ্যে সবথেকে কঠিন কাজ। কারণ এখানে আপনার কোনও সুনির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষ নেই। এখানে প্রচণ্ড প্রতিযোগিতা। মাঝে মাঝে প্রতিযোগিতা দ্বন্দ্বে রূপান্তরিত হয়।” বিদেশনীতিতে সাফল্য পেতে গেলে কোন কোন শর্ত পূরণ হওয়া দরকার তাও জানিয়েছেন আকবরুদ্দিন। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, “বিদেশনীতিতে সাফল্য পেতে কয়েকটি বিষয়ে নজর দেওয়া দরকার। প্রথমেই দরকার, ডোমেস্টিক স্টেবিলিটি বা দেশে স্থায়িত্ব। যে দেশের অভ্যন্তরে স্থায়িত্ব নেই, সেই দেশের বিদেশনীতিতে সফল হওয়া কঠিন। গত ১০ বছরে ভারতে অভ্যন্তরে স্থায়িত্ব রয়েছে। এর জেরে আর্থ-সামাজিক বৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে। মোদীর নেতৃত্বে এই বৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে।”

বিদেশনীতিতে সফল হতে সঠিক নেতৃত্বের গুরুত্বের কথা জানিয়েছেন আকবরুদ্দিন। এ বিষয়ে তিনি ভূয়সী প্রশংসাও করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। তিনি বলেছেন, “বিদেশনীতিতে সাফল্যের জন্য দরকার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব। যিনি ঝুঁকি নিতে পারবেন। যেমন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ১০ বছর আগে যখন তিনি প্রথম বার প্রধানমন্ত্রী হলেন, তখন তাঁর বিদেশনীতি নিয়ে কোনও অভিজ্ঞতা ছিল না। কিন্তু তিনি প্রথম যে পদক্ষেপ করেছিলেন তা বিদেশনীতির সঙ্গে যুক্ত কেউ চিন্তাই করতে পারবে না। আমিও তখন বিদেশ মন্ত্রকে ছিলাম। প্রধানমন্ত্রীর নিজের শপথে তিনি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিকে আমন্ত্রণের কথা জানালেন। মোদীর ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা এই সিদ্ধান্ত দেখিয়েছিল। গত ১০ বছরে মোদী নিজেকে বিশ্বনেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠিতক করেছেন।”

এর পাশাপাশি সফল বিদেশনীতির জন্য কূটনীতিকের কথা বলেছেন। যা ভারতের চিরদিনই রয়েছে। বিদেশনীতির সফলের জন্য শেষ যা নির্ভর করে, তা হল সময়। কোনও সময় কালে তা হচ্ছে। সেই সময়ের মতো নীতি নির্ধারণ করাই চ্যালেঞ্জ। আকবরুদ্দিন এ প্রসঙ্গে বলেছেন, “মোদী বলেছেন এটা যুদ্ধের সময় নয়। তার মানে এই নয় যে যুদ্ধ হবে না। কিন্তু যে যুদ্ধ থেকে সমাধান সম্ভব নয়, তার জন্য আলাপ আলোচনার পথে হাঁটার কথা বলেছেন তিনি।”