AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

মহিলা সংরক্ষণ বিল কী? জেনে নিন এই বিলের দুই দশকের ইতিহাস

Women's Reservation Bill: ১৯৯৬ সালে লোকসভায় প্রথম পেশ করা হয়েছিল মহিলা সংরক্ষণ বিল। তারপর কেটে গিয়েছে দুই দশকেরও বেশি সময়। এখন কেন ফের এই বিল পেশ করতে হচ্ছে সংসদে?

মহিলা সংরক্ষণ বিল কী? জেনে নিন এই বিলের দুই দশকের ইতিহাস
প্রতীকী ছবিImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Sep 19, 2023 | 10:01 AM
Share

নয়া দিল্লি: সোমবার সংসদের বিশেষ অধিবেশনের প্রথম দিনই লোকসভায় মহিলা সংরক্ষণ বিল পেশ করার দাবি জানান। রাতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিলটিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গত সপ্তাহে যে সর্বদলীয় বৈঠক হয়েছিল, সেখানে শাসক ও বিরোধী দুই পক্ষই এই বিল পাশের বিষযে সম্মত হয়েছিল। মজার বিষয় হল, প্রায় তিন দশক ধরে এই বিলটি অমীমাংসিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ২০১০ সালে মনমোহন সিং সরকারের সময় রাজ্যসভায় বিলটি পাস হয়েছিল। রাজ্যসভা কখনই ভাঙা হয় না। তাই বিলটি কখনই বাতিল হয়নি। কিন্তু তারপরও ফের এই বিলটি পেশ করা হবে সংসদে।

মহিলা সংরক্ষণ বিল কি?

মহিলা সংরক্ষণ বিল, লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভায় মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ বা এক-তৃতীয়াংশ আসন সংরক্ষণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই ৩৩ শতাংশ কোটার মধ্যে তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং অ্যাংলো-ইন্ডিয়ানদের জন্য উপ-সংরক্ষণের প্রস্তাবও রয়েছে। বিলে আরও বলা হয়েছে, প্রতিটি লোকসভা নির্বাচনের পর সংরক্ষিত আসনগুলি পরিবর্তন করা উচিত।

বিলটি প্রথম কখন আনা হয়েছিল?

এইচডি দেবগৌড়ার নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট সরকার ১৯৯৬ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ৮১তম সংশোধনী বিল হিসাবে লোকসভায় প্রথম এই বিলটি পেশ করেছিল। তবে, বিলটি পাশ করাতে ব্যর্থ হয়েছিল দেবগৌড়া সরকার। লোকসভা ভেঙে যাওয়ায় এটি বাতিল হয়ে যায়।

পারেননি বাজপেয়ী

দুই বছর পর, ১৯৯৮ সালে অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার ফের রাজ্যসভায় বিলটি পেশ করে। কিন্তু, সেইবারও বিলটি পাশ হয়নি। পরবর্তীকালে ১৯৯৯, ২০০২ এবং ২০০৩ সালে বাজপেয়ী সরকারের আরও তিনবার বিলটি সংসদে পেশ করেছিল। কিন্তু, ফলাফল একই ছিল।

রাজ্যসভায় পাশ করিয়েও ব্যর্থ মনমোহন

প্রায় পাঁচ বছর পরে, মনমোহন সিং-এর ইউপিএ-১ সরকারের সময় ফের বিলটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। ২০০৮ সালের ৬ মে, বিলটি ফের রাজ্যসভায় পেশ করা হয়। ওই বছরের ৯ মে, বিলটি ,সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছিল। স্থায়ী কমিটি ১৭ ডিসেম্বর তাদের রিপোর্ট দিয়েছিল। ২০১০-এর ফেব্রুয়ারিতেকেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বিলটিকে অনুমোদন দিয়েছিল। অবশেষে ২০১০-এর ৯ মার্চ, রাজ্যসভায় ১৮৬-১ ভোটে পাশ হয়েছিল মহিলাদের সংরক্ষণ বিল। তবে, এই বিল নিয়ে কখনই লোকসভায় আলোচনা হয়নি। ২০১৪ সালে লোকসভায় এই বিলের কঠোর বিরোধিতা করেছিল আরজেডি এবং সমাজবাদী পার্টি। তারা মহিলাদের জন্য বর্ণভিত্তিক সংরক্ষণের দাবি তুলেছিল। লোকসভা ভেঙে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিলটি নিয়ে আলোচনাও শেষ হয়ে গিয়েছিল।

ভারতের রাজনীতিতে কি মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ আছে?

ভারতে পঞ্চায়েত স্তরে মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ রয়েছে। সংবিধানের ২৪৩-এর ঘ অনুচ্ছেদে এই সংসরক্ষণের কথা বলা আছে। ১৯৯২ সালে, ৭৩তম সাংবিধানিক সংশোধনী এনে পঞ্চায়েত স্তরে মহিলাদের এবং প্রান্তিক সম্প্রদায়গুলির জন্য ৩৩.৩ শতাংশ সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। বর্তমানে দেশের ১৪.৫ লক্ষেরও বেশি মহিলা স্থানীয় প্রশাসনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বর্তমানে, অন্ধ্র প্রদেশ, অসম, বিহার, ছত্তীসগঢ়, গুজরাট, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, কর্নাটক, কেরল, মধ্য প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, পঞ্জাব, রাজস্থান, সিকিম, তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানা, ত্রিপুরা, উত্তরাখণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েতে মহিলাদের জন্য ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ করা করেছে।

সংসদে মহিলাদের প্রতিনিধিত্বের ছবিটা কীরকম?

বিভিন্ন উপনির্বাচনের ফল ধরলে, ১৭তম লোকসভায় এখনও পর্যন্ত ৮২ জন মহিলা সাংসদ রয়েছেন। অর্থাৎ, লোকসভার মোট আসনের প্রায় ১৫.২১ শতাংশ মহিলা। ২০২২ কেন্দ্র জানিয়েছিল, রাজ্যসভায় মহিলাদের প্রতিনিধি আছেন মোট আসনের ১৪ শতাংশ।