মেয়েদের সঙ্গে কু-আচরণ মদ্যপ স্বামীর, রাগে ‘উচিত শিক্ষা’ দিলেন স্ত্রী
মদ্যপ অবস্থায় নিজের দুই মেয়ের সঙ্গেই দুর্ব্যবহার করছিলেন বাবা। রাগ সামলাতে না পেরে কুপিয়ে খুন (Murder) করলেন স্ত্রী।
হায়দরাবাদ: মায়ের চোখের সামনেই দুই মেয়ের সঙ্গে কু-আচরণ করছিল বাবা। মাথা ঠিক রাখতে না পেরে হাতের সামনে রাখা ছুরি দিয়েই কুপিয়ে খুন করলেন স্বামীকে। হুঁশ ফিরতেই মাথায় এল প্রমাণ লোপাটের পরিকল্পনা। রাতারাতি বাড়ির বাগান খুড়েই পুঁতে দিলেন স্বামীকে। তবে শেষরক্ষা হল না, দেওরের অভিযোগেই পুলিশের জালে ধরা পড়ে গেলেন ওই মহিলা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় এক মাস ধরেই নিখোঁজ ছিলেন হায়দরাবাদের বাসিন্দা বছর ৩৮-র ওই ব্যক্তি। সম্প্রতি তাঁর ভাই স্থানীয় থানা নিখোঁজ অভিযোগও জানিয়েছিলেন। এরপরই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। জেরা করা হয় ওই ব্যক্তির স্ত্রীকেও। সেখানেই রহস্য উদঘাটন হয়।
পুলিশি জেরায় প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে ৩২ বছরের ওই মহিলা নিজের স্বামীকে খুন করার ঘটনা স্বীকার করে নেন। তিনি জানান, ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে তাঁর স্বামী বাড়িতে বসেই মদ্যপান করছিলেন। কিছুক্ষণ বাদেই দেখা যায়, বড় ও ছোট মেয়ের সঙ্গে কু-আচরণ করার চেষ্টা চালাচ্ছে বাবা। এরপরই হুঁশ খুইয়ে ফেলেন ওই মহিলা।
আরও পড়ুন: রাতারাতি ভারতে হাজির দ্বিতীয় ‘মনোলিথ’, রহস্যে অবাক এলাকাবাসী
হাতের সামনে একটি ছুরি পেয়েই সেটি দিয়ে কোপাতে শুরু করেন স্বামীকে। কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে বুঝতে পারেন স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। এরপরই প্রমাণ লোপাট করতে বাড়ির পাচিলের ধারেই গর্ত খুঁড়ে মৃতদেহটি পুঁতে দেন।
নিখোঁজ ব্যক্তির খোঁজে তদন্ত শুরুর প্রথম থেকেই মহিলার বয়ানে বেশ কিছু অসঙ্গতি পাওয়া যায়। এরপরই তাঁকে পুলিশ হেজাফতে নেওয়া হয়। লাগাতার জেরায় তিনি স্বীকার করে নেন যে নিজেই স্বামীর খুন করেছেন।
অভিযুক্ত মহিলা আরও জানান, তিনি আগেও বিয়ে করেছিলেন এবং প্রথম পক্ষে মোট পাঁচজন সন্তান রয়েছে। সম্প্রতি প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় এবং ২০২০ সালের জুন মাসে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। ঘটনার দিন তাঁর স্বামী বড় ও ছোট মেয়ের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করাতেই তিনি খুন করেছেন বলে জানান।
ইতিমধ্যেই মাটি খুঁড়ে ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। বুধবারই ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।