AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Cyber Crime: ইনস্টাগ্রামে ফাঁদ পেতে নাবালিকার নগ্ন ছবি আদায়, ডার্ক ওয়েব চক্রের সঙ্গে যোগের অনুমান পুলিশের

Kochi: অভিযুক্তরা জানিয়েছেন, পরিকল্পনা করেই এই কাজ করেছিলেন তাঁরা। ধাপে ধাপে নাবালিকাকে জড়িয়েছিলেন নিজেদের জালে।

Cyber Crime: ইনস্টাগ্রামে ফাঁদ পেতে নাবালিকার নগ্ন ছবি আদায়, ডার্ক ওয়েব চক্রের সঙ্গে যোগের অনুমান পুলিশের
প্রতীকী ছবি
| Edited By: | Updated on: May 31, 2022 | 3:25 PM
Share

কোচি: শিশু ও নাবালিকাদের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্ব করা। সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হতেই তার কাছ থেকে নগ্ন ছবি হাতিয়ে নেওয়া। সেই ছবি দেখিয়ে আরও নগ্ন ছবি হাতানো। এ বার সেই সব ছবি ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে বিক্রি করা। সম্প্রতি এ রকমই একটি ঘটনা সামনে এসেছে কেরলের কোচিতে। শিশুদের নগ্ন ছবি হাতিয়ে ডার্ক ওয়েবে বিক্রির অভিযোগ তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত তিন জন এই চক্র চালাতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা হলেন এদাকোচির বাসিন্দা হেলভিন জোশেপ (২২), মল্লপুরমের বাসিন্দা নিখিল (২৩) এবং ত্রিসুরের বাসিন্দা মহম্মদ ফাজিল (২৪)। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি, পকসো ও তথ্য প্রযুক্তি আইনের একাধিক ধারায় মামলা করা হয়। এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত রয়েছে কি না তা জানতে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। ১৩ বছরের এক নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। তার পরই হদিশ মেলে ওই চক্রের।

১৩ বছরের এক নাবালিকার সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে বন্ধুত্ব করেছিলেন হেলভিন। তার সঙ্গে ধীরে ধীরে নাবালিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলে। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে ভিডিয়ো চ্যাটও শুরু হয়। তখনই ওই নাবালিকার থেকে কিছু আপত্তিকর ছবি নিয়েছিলেন হেলভিন। ইতিমধ্যে নিখিল ও ফাজিলের সঙ্গেও বন্ধুত্ব হয় নাবালিকার। হেলভিন নাবালিকার থেকে নেওয়া নগ্ন ছবি পাঠিয়ে দিয়েছিলেন নিখিল ও ফাজিলকে। তাঁরা সেই ছবিয়ে দেখিয়ে নাবালিকাকে ব্ল্যাকমেল করেন। এবং আরও নগ্ন ছবি তার কাছ থেকে আদায় করেন। এর পর তিনজনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে নাবালিকা পুলিশের দ্বারস্থ হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, তিন জনের মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে নাবালিকার ছবি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। জেরার অভিযুক্তরা জানিয়েছেন, পরিকল্পনা করেই এই কাজ করেছিলেন তাঁরা। ধাপে ধাপে নাবালিকাকে জড়িয়েছিলেন নিজেদের জালে। তিন জনের কাছে থাকা মোবাইল, কম্পিউটার পরীক্ষা করে পুলিশ জানতে পেরেছে অভিযুক্তরা ডার্ক ওয়েবও ব্যবহার করতেন। ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে নাবালিকার নগ্ন ছবি অভিযুক্তরা কোথাও পাঠিয়েছিলেন কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে সারা বিশ্ব জুড়ে শিশু পর্নোগ্রাফির অবৈধ কারবার চলে বলে জানিয়েছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। অভিযুক্তরা এই কাজের সঙ্গে জড়িত কি না, তাও জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।