SIR in Bengal: SIR-এর আগে শোকজ! ধাপে ধাপে ৬০০ BLO-র কাছে কারণ জানতে চায় কমিশন
SIR in Bengal: সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, "এসআইআরের বিরোধিতা করছি না। আমরা সবরকম সাহায্য করতে রাজি আছি। তাই বলে এসআইআর প্রক্রিয়ার জন্য স্কুল বন্ধ হয়ে যাবে, এটা হতে দিতে পারবে না।"

কলকাতা: বাংলায় যে কোনও সময় শুরু হবে এসআইআর বা বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা। প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। তারই আগে শোকজ করা হল ৬০০ জন বিএলও-কে। নির্বাচন কমিশনের কাজে অংশ নেন এই বিএলও বা বুথ লেভেল অফিসাররা। ভোটার তালিকা সংশোধনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেন এই বিএলও-রা।
বাংলায় ধাপে ধাপে ৬০০ বিএলও-কে দেওয়া হয়েছে শোকজ নোটিস। কেন তারা কমিশনের কাজ করতে চাইছেন না, তার সঠিক কারণ জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, একাধিক বিএলও কমিশনের কাজে অংশ নিতে চাইছেন না।
এই প্রসঙ্গে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, “এসআইআরের বিরোধিতা করছি না। আমরা সবরকম সাহায্য করতে রাজি আছি। তাই বলে এসআইআর প্রক্রিয়ার জন্য স্কুল বন্ধ হয়ে যাবে, এটা হতে দিতে পারবে না। স্কুলের একমাত্র শিক্ষক বলে বা নির্দিষ্ট কোনও বিষয়ের একমাত্র শিক্ষক বলে যারা বিএলও-র কাজ করতে চাইছেন না, তাদের পাশে আছি।”
বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, শিক্ষক-শিক্ষিকারা এ রাজ্যে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন, তাই কাজ করতে চাইছেন না। তৃণমূল দিকে দিকে আতঙ্ক তৈরি করছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। এসআইআর প্রক্রিয়ায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে বলে শাসক দলের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন।
তবে তৃণমূল নেতা অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “বেছে বেছে শোকজ করা হয়েছে। এটা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর বিরোধী। এভাবে শোকজ করার কোনও আইনি এক্তিয়ার নেই কমিশনের।”
এদিকে, নির্বাচন কমিশনের নজরে বিএলও (BLO) নিয়োগ। চার হাজারেরও বেশি বিএলও-দের নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠছে। জেলাশাসকদের থেকে এবার রিপোর্ট চাইল CEO দফতর। কোথাও কোথাও সহকারি শিক্ষিকা হিসেবে দেখিয়ে পার্শ্ব শিক্ষিকাদের বিএলও-দের কাজে পাঠানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
