AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Kolkata: বাবা কাজে ব্যস্ত, একরত্তি কন্যা হঠাৎ উধাও, হুলস্থুল সল্টলেকে

Kolkata: অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নামে পুলিশ। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। পুলিশের কাছে থাকা তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে ওই যুবকের পরিচয় জানা যায়। এরপরই বিধাননগর দক্ষিণ থানার সুকান্তনগরে হানা দেয় পুলিশ।

Kolkata: বাবা কাজে ব্যস্ত, একরত্তি কন্যা হঠাৎ উধাও, হুলস্থুল সল্টলেকে
ধৃত প্রবীর বৈরাগীImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jun 21, 2025 | 8:18 PM
Share

কলকাতা: একরত্তি মেয়েকে রাস্তার ধারে বসিয়ে কাজ করছিলেন বাবা। কিছুক্ষণ পর দেখলেন মেয়ে বেপাত্তা। কোথায় যেতে পারে দেড় বছরের শিশুকন্যা। কিছুই বুঝে উঠতে পারেননি বাবা। ছুটলেন থানায়। অভিযোগ পেয়েই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখল পুলিশ। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করা হল শিশুকন্যাকে। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ এলাকায়। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে।

পুলিশ জানিয়েছে, এদিন সকালে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ মেট্রো স্টেশনের সামনে কাজ করছিলেন পেশায় শ্রমিক কার্তিক বাগ। তাঁর বাড়ি ইলেকট্রনিকস কমপ্লেক্স থানার নয়াপট্টি এলাকায়। রাস্তার ধারে দেড় বছরের মেয়েকে বসিয়ে রেখে কাজ করছিলেন তিনি। সকাল ১০টা ১৫ মিনিট নাগাদ তিনি খেয়াল করেন, তাঁর মেয়ে সেখানে নেই। একরত্তি শিশুকন্যা কোথায় যেতে পারে, তা নিয়ে তিনি কোনও কুলকিনারা খুঁজে পাননি। মেয়েকে খুঁজে পেতে বিধাননগর পূর্ব থানায় ছোটেন তিনি।

অভিযোগ পেয়েই তদন্তে নামে পুলিশ। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়। পুলিশের কাছে থাকা তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে ওই যুবকের পরিচয় জানা যায়। এরপরই বিধাননগর দক্ষিণ থানার সুকান্তনগরে হানা দেয় পুলিশ। সেখানেই একটি বাড়ি থেকে শিশুকন্যাকে উদ্ধার করা হয়। তবে সেইসময় বাড়িতে ছিলেন না অভিযুক্ত। পরে তল্লাশি চালিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতের নাম প্রবীর বৈরাগী।

পুলিশ জানিয়েছে, বছর পঁচিশের প্রবীর আগে নয়াপট্টিতেই থাকতেন। তারপর সুকান্তনগরে চলে আসেন। ওই শিশুকন্যার বাবা-মাকে দীর্ঘদিন ধরেই চেনেন অভিযুক্ত। কেন তিনি শিশুকন্যাকে তুলে নিয়ে চলে আসেন, তা স্পষ্ট নয়। পুলিশ জানিয়েছে, শিশুকন্যাকে বাবা-মার কাছে ফেরত দেওয়ার যে কোনও ভাবনা অভিযুক্তের ছিল না, তা স্পষ্ট। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিষয়টি জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।