Ayan Sil: ‘ইমন আমার পার্টনার নয়’, ১০ ঘণ্টা পর ইডি অফিস থেকে বেরিয়ে বলছেন বিধ্বস্ত অয়ন-পুত্র
Recruitment Scam: প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদের পর্ব। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শেষে রাত ৭ টা ৫০ মিনিট নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরোন অয়নের স্ত্রী কাকলি শীল ও পুত্র অভিষেক শীল।
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) গ্রেফতার অয়ন শীলের (Ayan Sil) স্ত্রী ও পুত্রকে শুক্রবার ডেকে পাঠানো হয়েছিল সিজিও কমপ্লেক্সে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) অফিসে। প্রায় ১০ ঘণ্টা ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদের পর্ব। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শেষে রাত ৭ টা ৫০ মিনিট নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরোন অয়নের স্ত্রী কাকলি শীল ও পুত্র অভিষেক শীল। অয়নের বাড়ি থেকে বেশ কিছু নথি উদ্ধার করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা।
সেই বিষয়ে এদিন ইডি অফিসের বাইরে তাঁদের প্রশ্ন করা হলে বললেন, এরকম সরকারি টেন্ডার পাওয়া ব্যক্তির বাড়ি থেকে অনেক ধরনের নথি পাওয়া সম্ভব। অয়ন শীলের পুত্র অভিষেককে যে কোম্পানির ডিরেক্টর পদে রাখা হয়েছিল ২০১৩ সালে, সেই সময় তিনি মাইনর ছিলেন এবং সেই সম্বন্ধে তিনি কিছু জানতেন না বলেই দাবি অভিষেকের। এদিক ইডি অফিসে তাঁদের প্যান ও ব্যাঙ্কের নথিও খতিয়ে দেখা হয় বলে জানিয়েছেন অয়ন পুত্র।
প্রসঙ্গত, ইডির তদন্ত যত এগোচ্ছে, তত চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে গোয়েন্দাদের হাতে। এরই মধ্যে অয়ন শীল যোগে দুই মহিলার নাম উঠে আসছে। শ্বেতা চক্রবর্তী ও ইমন গঙ্গোপাধ্যায়। এই ইমন নামক মহিলার বিষয়ে বিভিন্ন বিভিন্ন তথ্য উঠে ভেসে উঠছে বিভিন্ন সূত্র মারফত। অয়নের ছেলে কি চিনতেন ইমনকে? অয়ন পুত্র অভিষেক বলছেন, ‘দেখা হয়েছে দু’বার। তার থেকে বেশি কিছু চিনি না। ইমন আমার পার্টনার নয়। আমার সঙ্গে সেই অর্থে কোনও আলাপ নেই ইমন গঙ্গোপাধ্যায়ের।’ কিন্তু এদিকে শোনা যাচ্ছে, অয়ন শীলের সংস্থায় সেকেন্ড ডিরেক্টর হিসেবে উল্লেখ রয়েছে ইমনের নাম। সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অভিষেক শীল বললেন, ‘এটা তো ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত। এই বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।’ পাশাপাশি অয়ন শীলের সঙ্গে নাম জড়ানো অপর মহিলা শ্বেতা চক্রবর্তীকেও তিনি চেনেন না বলেই দাবি অভিষেকের।